সাভারের রাজফুলবাড়ীয়া এলাকার, হারান নগর – বাইতুল জান্নাত জামে মসজিদে , তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে , মসজিদ ভাংচুরসহ ৩ জনে গুরুতর আহতের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার ( ২৩ জুলাই) দুপুর, জুম্মার মামাজের সময় সাভারের রাজফুলবাড়ীয়া এলাকার হারান নগর বায়তুল জান্নাত জামে মসজিদে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, জুম্মার নামাজের আগে মসজিদে ঈমাম না থাকায়, মসজিদে মোয়াজ্জেম থাকা সত্ত্বেও মাজেদ কাজী মসজিদের মিম্বারে বসে খুতবা পড়াতে গেলে, তারই আপন বড় ভাই গোলাম হোসেন বাধা দেন, তারই সূত্র ধরে নামাজ শেষে গোলাম হোসেন মসজিদের বাইরে আসলে, তাহার ছোট ভাইয়ের ছেলে ( ভাতিজা) আবু সাঈদ,কাশেম ও ফাহাদ এলোপাথাড়ি ভাবে তার চাচাকে মারতে থাকে ।
স্থানীয় লোকজন ঘটনা থেকে তাদেরকে ফেরানোর চেষ্টা করেন । কিছুক্ষণ পর গোলাম হোসেনের ছেলে রাজু ও মামুন ধারালো অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে মসজিদে হামলা চালায়, এ সময় মসজিদের বেশ কয়েকটি কাচের জানালা ভেঙ্গে ফেলে, ও তাদের নিজের চাচাতো ভাই, আবু কাশেম ও আবু সাঈম কে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে ।
এদের সবাই সাভারে এনাম ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন বলে জানা যায় । অপরদিকে মারামারির সময় আঘাত পেয়ে সাভার সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন গোলাম হোসেনের ছেলে মামুন । পাশাপাশি তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের যুবদলের সভাপতি রাজু ও আহত হয়েছে বলেও জানা যায়, কিন্তু তাকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি ।
স্থানীয়রা এ বিষয়ে আরো বলেন, মাজেদ কাজী দীর্ঘদিন যাবৎ মসজিদের দায়িত্ব পালনকালে, প্রায় ষোল থেকে সতেরো লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আছে, এনিয়ে মসজিদ কমিটিতে বেশ কয়েকবার বিচারের হলেও এখনও সে টাকা বুঝিয়ে দিতে পারেননি মসজিদ কমিটিকে । এনিয়েও ঘটনার সুত্রপাত হতে পারেন বলেও জানান স্থানিরা।
এবিষয়ে সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহিদ বলেন, থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সাভার মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। অভিযুক্তদের আটকের চেষ্টা চলছে।