করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ঈদের পর ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ১৪ দিনের জন্য কঠোর লকডাউন শুরু হবে। এ সময় গার্মেন্টসহ সব ধরনের শিল্পকারখানাসহ সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
জিরো টলারেন্সে থাকবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, ঈদের পর ১৪ দিন যে লকডাউন আসছে তা কঠোর থেকে কঠোরতর হবে।
জরুরি সেবা, গণমাধ্যম ও খাদ্য উৎপাদনে সংশ্লিষ্ট পরিবহন ছাড়া সব ধরনের পরিবহন বন্ধ থাকবে। গণপরিবহন বিশেষ করে বাস, ট্রেন, লঞ্চ ও অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট বন্ধ থাকবে। রাজধানী ঢাকা থাকবে বিচ্ছিন্ন।
নতুন লকডাউনের ক্ষেত্রে কিছু বিষয়ে বিধি নিষেধ শিথিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। সোমবার (১৯ জুলাই) সন্ধ্যায় নতুন বিধি-নিষেধ আরোপ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
২৩ দফা নির্দেশনা দিয়ে ঈদের তৃতীয় দিন- অর্থাৎ ২৩ জুলাই ভোর ৬টা থেকে ৫ আগস্ট রাত ১২টা পর্যন্ত বিধি-নিষেধ আরোপ করা হবে বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়।
ফলে যারা বাড়ি গিয়ে ঈদ আনন্দ উদযাপন করছেন তাদের কর্মস্থল বা নির্ধারিত গন্তব্যে ফিরে আসতে হবে শুক্রবার ভোর ৬টার মধ্যে।
কারণ শাটডাউন শুরু হওয়া মাত্রই বন্ধ হবে সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস। বন্ধ থাকবে অভ্যন্তরীণ বিমানসহ সড়ক, রেল ও নৌপথে সকল গণপরিবহন ও সব ধরনের যন্ত্রচালিত যানবাহন।
কোনো অবস্থাতেই খোলা যাবে না শপিং মল, মার্কেটসহ সব দোকানপাট। বন্ধ থাকবে পর্যটনকেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদনকেন্দ্রের মতো সব ধরনের জনসমাগম কেন্দ্র।
ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কেনা, চিকিৎসাসেবা, মৃতদেহ দাফন বা সৎকারের মতো অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কোনোভাবে কেউই বাড়ির বাইরে আসতে পারবে না।
নির্দেশ অমান্যকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানিয়ে দিয়েছে সরকার। এজন্য মাঠে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বসানো হবে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
টহল নিশ্চিত করে শাটডাউনে বাস্তবায়নে ‘আর্মি ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’-এর আওতায় মাঠে নামানো হবে সেনাবাহিনীকে। এ ছাড়া, মাঠে থাকবে বিজিবি, কোস্টগার্ড, র্যাব ও আনসার।
তবে যারা করোনা প্রতিরোধী টিকা নেবেন তাদের টিকা কার্ড দেখিয়ে নির্ধারিত কেন্দ্রে যেতে কোনো বাধা থাকবে না। আর খাবারের দোকান, হোটেল, রেস্তোরাঁগুলো সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খাবার বিক্রি (অনলাইন/টেকওয়ে) করতে পারবে।
কাঁচাবাজার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্রয়-বিক্রয়ের সুযোগ দেয়া হয়েছে।
আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বিধিনিষেধের বাইরে থাকবে। তাই বিদেশগামী যাত্রীদের জন্য ভ্রমণের টিকিট দেখিয়ে গাড়ি নিয়ে যাতায়াতের সুযোগ রেখেছে সরকার। বরাবরের মতো জরুরি সেবাকে বিধিনিষেধের বাইরে রাখা হয়েছে।