নেত্রকোনা জেলার সদর উপজেলার লক্ষিগন্জ ইউনিয়নের বাইশধার গ্রামের ২৮ শতাংশ জমি নিয়ে অভিযোগ পাওয়া যায়।
নেত্রকোনা জেলার সদর উপজেলার লক্ষিগন্জ ইউনিয়নের বাইশধার গ্রামের আতিকুর রহমান (ফরহাদ) এর ২৮ শতাংশ জমি ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা কাঠা বিক্রয় করা হইবে মূলে বাচ্চু মিয়া তা ক্রয় করবে বলে ২৮ শতাংশ জমির মূল্য ৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দাম নির্ণয় করা হয়। সেই দাম নির্ণয়ের সুবাদে বাচ্চু মিয়া জামির মালিক আতিকুর রহমান (ফরহাদ)কে জামানত স্বরূপ ৩০ হাজার টাকা দিয়ে ঐ জমিতে সে হাফ বিল্ডিং ঘর তৈরি করে। কিন্তু বাচ্চু মিয়ার কাছে আতিকুর রহমান (ফরহাদ) বাকী টাকা চাইলে তাকে বিভিন্ন তারিখ দিয়ে থাকে টাকা দেওয়ার জন্য।
অদ্যবধী আতিকুর রহমান (ফরহাদ) জমি বিক্রির বাকী টাকা পায়নি। আমি এলাকার গণমান্য ব্যক্তিদের এই বিষয়ে অবগত করলে তারা বাচ্চু মিয়ার সাথে বসে বাকী টাকা আমাকে দেওয়ার কথা বললে বাচ্চু মিয়া বলে আমি সব টাকা তাকে দিয়ে দিয়েছি। কিন্তু দলিল মূলে এই জমির মালিক এখনো আমি। আমি যেন আমার জমির ন্যায্য মূল্য বা জমি ফেরৎ পাই তাই বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সদর উপজেলার সভাপতি এস.এম বজলুল কাদের শাহজাহান স্যারের কাছে গেলে তিনি সব ঘটনা শুনে এবং দলিলপত্রাদি দেখে বলেন এই জমির মালিক এখনো আতিকুর রহমান (ফরহাদ)।
বর্তমানে এই ২৮ শতাংশ জমির মালিক দলিল মূলে আতিকুর রহমান (ফরহাদ) থাকার পরও জোড় করে দখল করে রেখেছে বাচ্চু মিয়া।
এ ব্যাপারে বর্তমান মেম্বার রমিজ রাজা, সাবেক মেম্বার হাবিল মিয়া, ফেরদৌস মিয়া, ফারুক আহমেদ রানা, মো: কামরুল ইসলাম, শাহজাহান, মো: পারভেজ, রফিক, তন্ময়, ইমরুল, আশরাফুল, একলাছ মিয়া, এমদাদুল হক, আকরামসহ আরো অনেকেই বলেন এই জমির মালিক কিনা সূত্রে আতিকুর রহমান ফরহাদ। কিন্তু এই জমি অবৈধভাবে বাচ্চু মিয়া দির্ঘদিন ধরে দখল করে আসছে।
তবে আমরা অনেকবার এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ উভয় পক্ষকে একত্র করে এই বিষয়ের একটি গ্রাম্য শালিশের মাধ্যমে মিমাংশা করে ছিলাম। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত অবৈধভাবে দখলকারী বাচ্চু মিয়া না মানায় এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে আতিকুর রহমান ফরহাদকে আইনীভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য বলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে আতিকু রহমান ফরহাদ বলেন আমি থানায় আমার স্ত্রীকে পাঠিয়েছি অবৈধভাবে দখলকারী বাচ্চু মিয়ার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করার জন্য।
অভিযোক্ত বাচ্চু মিয়ার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করলে তার স্ত্রী ও ছেলে বলেন আমার এই জায়গা আতিকু রহমান ফরহাদের কাছ থেকে কিনে নিয়েছি। তাই আমরা এই জমিতে ঘর তৈরি করে বসবাস করছি।
এ বিষয়ে নেত্রকোণা মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ খন্দকার শাকের আহমেদ এর সাথে যোগাযোগ কলে তিনি বলেন আমি এখনো অভিযোগ পাইনি, পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।