লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার ভেলাগুড়ি ইউনিয়নের উত্তর জাওরানী গ্রামে ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনা ভিন্নখাতে নিতে নিযার্তনের শিকার ওই নারীর পরিবারের বিরুদ্ধে কথিত ছিনতাইয়ের অভিযোগ তোলা হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, ভেলাগুড়ি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুর রহমান রিপন প্রভাব খাটিয়ে ধর্ষণের ঘটনা থেকে তার ভগ্নিপতি মহি উদ্দিন মহিরকে বাঁচাতে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ছিনতাইয়ের অভিযোগ তুলে থানায় এ অভিযোগ করেন। এ ঘটনায় থানায় পাল্টা-পাল্টি অভিযোগ করেছেন দুই পক্ষ। পুলিশ বলছে, দুইটি অভিযোগ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রাপ্ত অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, ওই ইউনিয়নের পুর্ব কাদমা গ্রামের আব্দুস ছাত্তারের পুত্র মহি উদ্দিন মহির ৩ জুলাই রাতে পার্শ্ববতর্ী উত্তর জাওরানী গ্রামে এক নারীকে ধর্ষনের চেষ্টার সময় স্থানীয়রা তাকে আটক করেন।
অভিযোগ উঠেছে, খবর পেয়ে মহি উদ্দিন মহিরের শ্যালক ও ভেলাগুড়ি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুর রহমান রিপনসহ কয়েকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে মহিরকে ছিনিয়ে নিয়ে আসে। পরে তাকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় মহি উদ্দিন মহির ছিনতাইয়ের কবলে পড়েছেন এমন অভিযোগ তুলে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মহির উদ্দিনের পুত্র জাহাঙ্গীর আলম ও ওই নারীর পুত্রের বিরুদ্ধে টাকা ছিনতাই ও মারধরের অভিযোগে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। এ ঘটনায় ধর্ষনের চেষ্টার বিচার চেয়ে ওই নারীও থানায় অভিযোগ করেছেন।
ওই নারীর পরিবারের অভিযোগ, ভেলাগুড়ি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুর রহমান রিপন ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে ধর্ষণের চেষ্টায় আটক তার ভগ্নিপতিকে ছিনিয়ে নিয়ে গিয়ে উল্টো নিযার্তিত নারীর পরিবারের বিরুদ্ধে ছিনতাইয়ের মিথ্যা অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে ভেলাগুড়ি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুর রহমান রিপন তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গুলো অস্বীকার করে বলেন, তাকে হয়রানী করতে যড়ষন্ত্র মুলক তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হয়েছে।
তবে তার ভগ্নিপতি মহি উদ্দিন মহির বলেন, ভেলাগুড়ি ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের পুত্র জাহাঙ্গীর ও গ্রাম পুলিশ শামীম তাকে আটক করে মারধর করেছেন। হাতীবান্ধা থানার ওসি এরশাদুল আলম বলেন, এ ঘটনায় পাল্টা-পাল্টি দুইটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।