ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নে পরিষদ পাড়া এলাকার বাসিন্দা আবুল হাসেমের (ভেন্ডার) বিরুদ্ধে বিয়ের পর একাধিক নারীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।
আবুল হাসেম (৫৫) ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের কিসামত শুখানপুখুরী গ্রামের মৃত ওসমান গনির ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, হাসেম ভেন্ডার একজন ‘লম্পট, চরিত্রহীন, মাদক ব্যবসায়ী এবং অসৎ’ প্রকৃতির মানুষ। হাসেম একটি পানের দোকান করতো। এখন তিরি স্ট্যাম্প ব্যবসায়ী। প্রথম স্ত্রীকে বিয়ের পর শ্বশুর মারা গেলে সু-কৌশলে জায়গা-জমি সব লিখিয়ে নেয় নিজের নামে।
বিয়ে করা তার নেশা, একাধারে তিনি পঞ্চগড় জেলার ময়দান দীঘি, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গড়েয়া, আখানগর, জগন্নাথপুর বাহাদুর পাড়া, মাদ্রাসাপাড়া, আদর্শ বাজার কলোনী পাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় ১২টি বিয়ে করে। এছাড়াও নামে বে-নামে অনেক স্ত্রী আছে।
হাসেমের এক স্ত্রী বলেন, আবুল হাসেম একজন ভয়ঙ্কর প্রকৃতির লোক। তার নির্যাতনের কথা আমি বলে শেষ করতে পারব না। সে আমাকে এমন জায়গায় এসিড দিয়ে পুড়ে দিয়েছে যা কাউকে দেখাতে ও বলতে পারব না। সে আমাকে মারার জন্য অনেক কৌশল করেছে। আমার মা-ভাই-বোনদের পথে বসিয়েছে। প্রতিবাদ করলেই চালায় আমার উপর পাশবিক নির্যাতন।
হাসেমের আরেক স্ত্রী বলেন, হাসেম ভেন্ডার একজন অসৎ প্রকৃতির মানুষ। সে আমার উপর প্রায় সময় নির্যাতন চালাতো। ভরোন-পোষণ ঠিক মতো দিত না। সে সু-কৌশলে আমার কাছে একটি কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে বিভিন্ন ধরনের অপমানমূলক কথা বলে বেড়াচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে আবুল হাসেম (ভেন্ডার) মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিয়ে আমার প্রয়োজন ছিল সে জন্য করেছি। এটা তো তেমন কোনো বিষয় না বলে মুঠোফোন কেটে দেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য সফিকুল ইসলাম বলেন, হাসেম ভেন্ডার একজন খারাপ মানুষ। তার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ আছে। স্থানীয়ভাবে অনেক বিষয় মিমাংসা করা হয়েছে।
বালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নূর এ এলম সিদ্দিকী বলেন, হাসেম ভেন্ডারের বিয়ে করাটা নেশায় পরিণত হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ তানভিরুল ইসলাম বলেন, শহরের মাদরাসাপাড়া মহল্লার এক নারী হাসেম ভেন্ডারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছিল। আমরা ওই নারীকে পারিবারিক আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছি।