পটুয়াখালীর গলাচিপায় মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গৃহহীন ও ভূমিহীনদের উপহার হিসেবে ঘর দেয়ার বিনিময় ঘুষ লেনদেন ও প্রতিবন্ধী কবির জোমাদ্দারকে (২৬) শরীরিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে মহিলা মেম্বার শাহনাজ বেগমের বিরুদ্ধে।
তিনি উপজেলার চরকাজল ইউনিয়ন পরিষদ এর সংরক্ষিত ওয়ার্ডের (৪, ৫ ও ৬ নম্বর) মেম্বার। ঘর দেয়ার কথা বলে অভিযুক্ত মোসা. শাহনাজ বেগম প্রতিবন্ধী কবিরের কাছে ৬০ হাজার টাকা দাবি করেন।
স্ত্রীর গহনা বন্ধক রেখে ও ধার দেনা করে মেম্বার শাহনাজ বেগমকে ৩০ হাজার টাকা দেয় প্রতিবন্ধী কবির। এ টাকা দেয়ার পর শুরু হয় ঘরের কিছু কাজ।
এদিকে বাকি ৩০ হাজার টাকা দিতে কবিরকে চাপ দেয় মেম্বার শাহনাজ। টাকা দিতে না পারায় ২৬ জুন শনিবার রাতে চরশিবা বাজারে কবিরের কাছে মেম্বার শাহনাজ টাকা চায়।
টাকা দেয়ার জন্য সময় চাইলে মেম্বার ক্ষিপ্ত হয়ে তার ছেলে শান্তকে নিয়ে কবিরকে এলোপাথারি মারধর করে। এতে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের সৃষ্টি হয়।
স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করান। এ ঘটনায় প্রতিবন্ধী কবির রোববার (২৭ জুন) রাতে অভিযুক্ত মহিলা মেম্বার শাহনাজের বিরুদ্ধে গলাচিপা থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
জানা গেছে, প্রতিবন্ধী কবির উপজেলার চরকাজল ইউনিয়নের ছোটশিবা গ্রামের মৃত নূর ইসলাম জোমাদ্দারের ছেলে। কবির ঝাল মুড়ি বিক্রি করা ছাড়া অন্য কোন লাভজনক পেশায় নিয়েজিত হতে পারছেন না।
এ কারণে অর্ধাহারে অনাহারের মধ্য দিয়ে পরিবারের ৬ সদস্য নিয়ে সংসারের ঘানি টানতে হয় তাকে। এ নিয়ে এলাকার মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে।
অভিযুক্ত কবির মুঠোফোনে বলেন তাকে ইট দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করা হয়। এ সময়ে কবিরকে প্রান নাশের হুমকিও দেয়া হয়।
জানতে চাইলে এ বিষয়ে মহিলা মেম্বার শাহনাজ বেগম বলেন প্রতিবন্ধী কবির একজন বড় ধুরন্দর প্রকৃতির লোক। মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি। গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, কবিরের শরীরের বিভিন্ন স্থানে এবং বাম কাধে আঘাতের চিহ্ন গুরুতর।
তিনি আমার চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ব্যাপারে প্রতিবন্ধী কবিরের অভিযোগের তদন্তকারী গলাচিপা থানার উপ পরিদর্শক নুরুন নবী জানান, ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে দেখা হবে।