চট্টগ্রামের চিড়িয়াখানায় আবারও কৃত্রিম উপায়ে হাতে তৈরি ইনকিউবেটরে ডিম রেখে ফুটানো হয়েছে অজগরের ২৮টি বাচ্চা। চিড়িয়াখানায় ২২টি অজগরের মধ্যে একটি অজগরের ৩১ ডিমে ২৮টি বাচ্চা জন্মের পর স্বাভাবিক ভাবে বড় হওয়ায় খুশি চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার কিউরেটর ডা. শাহাদাত হোসেন শুভ। গত মঙ্গলবার রাতে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় এ বিরল ঘটনা ঘটেছে।
ডিম থেকে এসব অজগর ফুটানোর জন্য ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ও ৮৫ শতাংশ আর্দ্রতা ধরে রাখার বিষয়টি অনেক বড় চ্যালেঞ্জের ছিল।
নানা প্রতিকূলতার পরও একসঙ্গে এত ডিম থেকে সাপের বাচ্চা ফুটানো অনেক ভাগ্যের ব্যাপার বললেন চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।
সদ্য জন্ম নেওয়া সব বাচ্চা সুস্থ আছে। সাধারণত জন্মের ১৫ দিনের মধ্যে সাপের বাচ্চা চামড়া বদল করে। ততদিন এগুলোকে ইনকিউবেটরে রেখেই রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে। চামড়া বদল করার পর তাদের প্রয়োজনীয় খাবার দেওয়া হবে।
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ও হাটহাজারী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমীন বলেন, এ পদ্ধতি দেশের জন্যও একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করল। এখন অন্যান্য চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষও এভাবে অজগর সাপের বাচ্চা ফুটাতে উৎসাহী হবে।
এর আগে ২০১৯ সালের জুনে দেশে প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় হাতে তৈরি ইনকিউবেটরে অজগর সাপের ২৫টি বাচ্চা ফুটানো হয়। ভালো রক্ষণাবেক্ষণের কারণে জন্মের পর সবকটি বাচ্চাই ভালোভাবে বেড়ে ওঠে। পরে এগুলোকে বন্য পরিবেশে অবমুক্ত করা হয়।’