মাদারীপুরে শুরু হয়েছে সাতদিনের কঠোর লকডাউন। মঙ্গলবার ভোর থেকে শুরু হওয়া এই লকডাউন কার্যকর থাকবে ৩০ জুন পর্যন্ত।
লকডাউনের প্রভাবে বিভিন্ন হাটবাজারে লোক সমাগম তুলনা মুলক কম। মাদারীপুর থেকে ছেড়ে যায়নি দুরপাল্লার কোন যাত্রীবাহি পরিবহন।
শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ চেক পোস্ট বসিয়েছে। বন্ধ রয়েছে যাত্রীবাহি বাসসহ সব ধরনের গণপরিবহন।
মাদারীপুর পুলিশ সুপার গোলাম মস্তফা রাসেল বলেন, ‘বিভিন্ন হাটবাজার ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশের চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। গণপরিবহন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
যাতে মানুষ অপ্রয়োজনের ঘরের বাইরে না থাকে সেদিকে খেয়াল রেখে পুলিশ কাজ করছে। এ কারণে রাস্তাঘাট, হাটবাজারে লোক সমাগম কমে এসেছে।’
মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন বলেন,‘ কঠোর লকডাউন কার্যকর করতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশের সমন্বয় মাঠে একাধিক ভ্রাম্যমান টিম কাজ।
তারা সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে কাজ করছে। এছাড়াও ক্ষেত্র বিশেষ আইন অমান্য করলে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে শাস্তিও দেয়া হবে।’ তিনি আরও জানান, ‘জেলায় করোনা ভাইরাস বৃদ্ধি পাওয়া ও পাশ^বর্তী উপজেলায় ভারতের ভ্যারিয়েন্ট পাওয়ার কারণে
এই লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ ব্যাপারে সোমবার রাতে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে জেলা প্রশাসন। এরপর পরই জেলার তথ্য অফিসের পক্ষ থেকে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ ও লকডাউন বাস্তবায়নে সচেতনামূলক মাইকিং করা হয়েছে।’
মাদারীপুর জেলার সিভিল সার্জন ডা. সফিকুল ইসলাম জানান, ‘গোপালগঞ্জের কোটালাপাড়া উপজেলায় ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে।
এটি সীমান্তবর্তী এলাকা মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলার কাছে। এতে মাদারীপুরে রয়েছে চরম ঝুঁকিতে। এছাড়া গত ২৪ ঘন্টায় ৪৮টি নমুনা পরীক্ষায় ১৮ জন শনাক্ত হয়েছে।
নমুনা পরীক্ষায় সংক্রমণের হার ৩৭.৫ শতাংশ। ফলে জেলায় করোনা ভাইরাসের আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।’
প্রসঙ্গত, জেলায় করোনা ভাইরাসে এখন পর্যন্ত ২০ হাজার ২শ’ ৪৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এরমধ্যে ২ হাজার ৫শ’ ৩৪ জন এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।
এখন পর্যন্ত ২ হাজার ২শ’ ৫৯জন সুস্থ্য হয়েছেন। চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২শ’ ৪৫ জন। এরমধ্যে আইসোলেশনে একজন ও হোম আইসোলেশনে ২শ’ ৪৪ জন। এছাড়া গত ২৪ ঘন্টায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। এতে জেলায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩১ জনে।