মানবিক সহায়তার অংশ হিসেবে রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) উদ্যোগে ৫০টি অক্সিজেন সিলিল্ডার নিয়ে যাত্রা শুরু করলো ‘পুলিশ কোভিড অক্সিজেন ব্যাংক’। একটি ফোনকলেই সংকটাপন্ন করোনা রোগীর বাসায় অক্সিজেন পৌঁছে দেবে আরএমপি’র সদস্যরা। দুর্যোগকালে পুলিশের এই বিশেষ সেবা নিতে গুণতে হবে না কোনো খরচ।
আজ দুপুর ১২টায় আরএমপি কমিশনার মো. আবু কালাম সিদ্দিক ‘পুলিশ কোভিড অক্সিজেন ব্যাংক’-এর উদ্বোধন করেন।
নগর পুলিশ সদর দপ্তরে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. আবু কালাম সিদ্দিক বলেন, ‘করোনার সেকেন্ড ওয়েভের কারণে আক্রান্তের হার বেড়েছে। এতে অনেক গরিব, অসহায় প্রয়োজনের সময় অক্সিজেন পাচ্ছেন না, এতে অনেকেই মারা যাচ্ছেন। এই সঙ্কটের কথা চিন্তা করে সাধারণ জনগণ ও দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যসহ যে কোনো করোনা আক্রান্ত রোগীদের কাছে বিনামূল্যে অক্সিজেন পৌঁছে দিতে ‘পুলিশ কোভিড অক্সিজেন ব্যাংক’ গঠন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল ছাড়া রাজশাহীর অন্যান্য হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহে সেন্ট্রাল অক্সিজেন নেই। অপরদিকে রামেক হাসপাতালে করোনা রোগী বাড়ছে। নতুন ওয়ার্ডগুলোতে অক্সিজেন সিস্টেম চালু করতে অন্তত দুই থেকে তিন মাস লেগে যাবে। এসব কথা ভেবেই আরএমপির পক্ষ থেকে ‘পুলিশ কোভিড অক্সিজেন ব্যাংক’ গঠন করা হয়েছে।
আপাতত ৫০টি অক্সিজেন সিলিল্ডার দিয়ে এই অক্সিজেন ব্যাংকের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। দু’একদিনের মধ্যে এ সংখ্যা ১০০-তে উন্নীত করা হবে। পর্যায়ক্রমে প্রয়োজন অনুসারে আরও অক্সিজেন সিলিন্ডার সংযোজন করা হবে বলেও জানান আরএমপি পুলিশ কমিশনার মো. আবু কালাম সিদ্দিক।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, কোভিড আক্রান্ত হয়ে শ্বাসকষ্টে কেউ ভুগছেন এমন সংবাদ আরএমপির কন্ট্রোল রুমের ০১৩২০-০৬৩৯৯৮ নম্বরটিতে কল করলেই সেবা মিলবে। আরএমপির পক্ষ থেকে রোগীর বাড়িতে অক্সিজেন সিলিন্ডারসহ পৌঁছে যাবে পুলিশ। এ সেবা সম্পূর্ণরূপে বিনামূল্যে প্রদান করা হবে।
‘পুলিশ কোভিড অক্সিজেন ব্যাংক’-এ মূলত কারা অগ্রাধিকার পাবেন এবং কিভাবে এ সেবা প্রদান করা হবে, এমন প্রশ্নে আরএমপি অতিরিক্ত সহকারী পুলিশ কমিশনার ও পুলিশের নগর মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস জানান, যেহেতু বর্তমানে রামেকে রোগীর সংখ্যা বেশি, সে তুলনায় অক্সিজেন সঙ্কট রয়েছে। সেই কথা বিবেচনা করে যে কোনো ভুক্তভোগীর বাসায় এ সেবা পৌঁছে দেয়া হবে। তবে যিনি আগে কল করবেন, তিনি আগে সুবিধা পাবেন।
অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন) মো. সুজায়েত ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) মো. মজিদ আলী, উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) মো. রশীদুল হাসান ও উপ-পুলিশ কমিশনার (বোয়ালিয়া) মো. সাজিদ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।