সাতক্ষীরায় গত ২৪ ঘনটায় করোনার উপসর্গ নিয়ে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ৯৩ জনের নমুনা পরিক্ষায় ৪৪ জনের করোনা পজেটিভ ধরা পড়েছে। শনাক্তের হার ৬৪ দশমিক ১৯ শতাংশ থেকে নেমে গত ২৪ ঘন্টায় দাঁড়িয়েছে ৪৭ দশমিক ৩১ শতাংশে।
স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য মতে বর্তমানে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২৪ জন ও সদর হাসপাতাল ৮ জন করোনা পজেটিভ রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে। এছাড়া সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল এবং বাসাবাড়িতে বর্তমানে মোট ৬৯৮ জন করোনা পজেটিভ রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এদিকে সাতক্ষীরার ১৩৮ কিলোমিটার ভারত সীমান্ত জুড়ে বিজিবি সীমান্ত টহল জোরদার করেছে। অবৈধ ভাবে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় নারী-পুরুষ, শিশুসহ গত ২৪ ঘন্টার অভিযানে ৬ বাংলাদেশী নাগরিককে আটক করেছে সাতক্ষীরা ৩৩ ব্যাটালিয়ন বিজিবি।
আটককৃতরা সবাই চট্রগ্রাম, নওগাঁ, খুলনা ও যশোর জেলার বাসীন্দা। গতকাল সাতক্ষীরার বৈকারী, তৈলুইগাছা, হিজলদি ও মাদরা সীমান্ত থেকে তাদেরকে আটক করে পদ্ম-শাখরা প্রাইমারি স্কুল ও কলারোয়ার সোনাবাড়ীয়া প্রাইমারি স্কুলে হোমকরেনটাইনে রাখা হয়েছে। বিষয়টি এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবি ব্যাটারিয়নের অধিনায়ক লে: কর্নেল মোহাম্মদ আল মাহমুদ।
গত ২৮ এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত অবৈধ ভাবে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় ৩ জন মানবচপাচারকারিসহ মোট ৫৭ জনকে আটক করেছে বিজিবি। তাদের বিরুদ্ধে প্রচালিত আইনে সাতক্ষীরার বিভিন্ন থানায় মামলা দায়ের করে হোমকরেনটাইনে পাঠিয়েছে বিজিবি।
এদিকে কঠোর বিধি-নিষেদের মধ্যদিয়ে ৫ জুন থেকে ১৭ জুন পর্যন্ত স্থানীয় জেলা প্রশাসনের দুই দফায় দেওয়া দুই সপ্তাহের লকডাউন চলছে। করোনার উর্ধমুখী নিয়ন্ত্রনে পুলিশ শহরের মোড়ে মোড়ে ব্যারিকেড দিয়ে চেকপোস্ট বসিয়ে মানুষ চলাচল নিয়ন্ত্রণ করছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে খুলনা ও যশোর থেকে সাতক্ষীরায় প্রবেশের পথ। কিন্তু হাট-বাজারের সাধরণ মানুষ কোন ভাবে স্বাস্থ্য-বিধি মানছে না। স্বাস্থ্যবিধি মানাতে হিমশিম খাচ্ছে প্রশাসন।
জেলায় এ পর্যন্ত ২ হাজার ২২৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। আর মৃত্যু হয়েছে ৫২ জন করোনা পজেটিভ রোগীর। আর উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে আরও ২৪৮ জন। প্রতিদিন সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও সদর হাসপাতালে করোনা পজেটিভ রোগীর চাপ বাড়ছে।