দেশে সব সময় করোনার হটস্পট ধরা হতো রাজধানী ঢাকাকে। যদিও বাংলাদেশে শুরু থেকেই অনেকটা নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে করোনা পরিস্থিতি। মাঝখানে করোনায় মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও এখন অনেকটাই কম।
তবে ভারতে করোনার তাণ্ডবে ঝুঁকিতে দেশের সীমান্ত জেলাগুলো। ভারতীয় ধরন ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকায়। যশোর, সাতক্ষীরা, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে এ পরিস্থিতি উদ্বেগজনক।
এদিকে সীমান্ত জেলাগুলোতে সংক্রমণ ঠেকাতে এরইমধ্যে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। নানা বিধিনিষেধ ও লকডাউন আরোপ করেছে স্থানীয় প্রশাসন। তবে এসব জেলার হাসপাতালগুলোতে অক্সিজেনের সংকট সেই আগের মতোই রয়ে গেছে।
যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালে করোনা রোগীদের শয্যা সংকট দেখা দিয়েছে। বেড দিতে না পেরে অনেককেই হাসপাতালের বারান্দায় চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। এদিকে যশোরেও কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। রাস্তার মোড়ে মোড়ে চেক পোস্ট বসিয়েছে পুলিশ।
এদিকে রাজশাহীতেও একই চিত্র। রাজশাহীতে করোনা পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় গতকাল বিকেল থেকে ৭ দিনের লকডাউন ঘোষণা করেছে প্রশাসন। আজ সকাল থেকে কঠোর অবস্থানে পুলিশ। এদিকে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে বিনা মূল্যে করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে।
লকডাউনের কারণে রাজশাহী সঙ্গে সারাদেশের ট্রেন চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। যারা অগ্রিম টিকিট কেটেছিলেন তাদের টাকা ফেরত দেয়া হয়েছে।
খুলনাতে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। করোনা হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে করোনা পরীক্ষার অপেক্ষায় মানুষের দীর্ঘ লাইন। রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ধারণক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত করোনা রোগী ভর্তি হচ্ছে হাসপাতালে। তাই অক্সিজেনের প্রয়োজন হচ্ছে বেশি।