পছন্দের ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ডাক্তার দেয়া পরীক্ষা না করায় রাবেয়া বেগম (৫৫) নামে এক মধ্য বয়সী রোগীকে দেখতে অস্বীকৃতি জানালেন লালমনিরহাটের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ রেজাউল হক।
বুধবার (৯ জুন) বিকেলে রোগীর মেয়ে রুমা খাতুন ডাঃ মোঃ রেজাউল হকের বিরুদ্ধে সিভিল সার্জন বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগে জানা যায়, মা শারীরিক ভাবে অসুস্থ্য হওয়ায় মঙ্গলবার সকালে রুমা তার মাকে সদর উপজেলার উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ডাঃ মোঃ রেজাউল হকের নিকট নিয়ে যান। পরে ডাঃ রেজাউল হক প্রসক্রিপশন করার আগে তিনটি পরীক্ষা করে নিয়ে আসতে বলেন এবং পরীক্ষা গুলো তার পছন্দের লামিয়া ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকেই করে নিয়ে আসতে বলেন। লামিয়া ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা গুলো করতে বেশি টাকা চাওয়ায় রুমা পাশের সেন্ট্রাল ক্লিনিকে অল্প টাকায় সেই করে নিয়ে আসেন।
পরদিন (৯ জুন) সকালে পরীক্ষার রিপোর্ট গুলো ও তার মাকে নিয়ে ওই ডাক্তারের নিকট যায় এবং রিপোর্ট গুলো দেখায়। কিন্তু পরীক্ষা গুলো ডাক্তারের দেয়া নির্ধারিত লামিয়া ডায়াগনস্টিক সেন্টারে না করায় সেই পরীক্ষার রিপোর্ট গুলো তিনি ছুড়ে ফেলে দেয় এবং তার মায়ের চিকিৎসা সেখানে হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়ে স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে বাহির করে দেন।
রুমা তার মায়ের চিকিৎসা করতে না পেরে অসুস্থ মাকে নিয়ে বাড়ি চলে আসেন এবং বিকেলে সিভিল সার্জন বরাবরে ডাঃ রেজাউল হকের বিরুদ্ধে একটি অভিোগ দেন।
বিষয়টি জানার জন্য সাংবাদিকেরা ডাঃ রেজাউল হকের চেম্বারে গেলে তিনি খালি গায়ে সাংবাদিকদের সামনে আসেন এবং তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগটি সম্পুর্ন মিথ্যা বলে দাবী করেন। তিনি কেন লামিয়া ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা করতে পাঠালেন এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন সেখানে পরীক্ষার রিপোর্ট ভাল আসে তাই সেখানে পরীক্ষা করতে বলা হয়েছে। সাংবাদিকদের সাথে কথা শেষ হলে তিনি শরীরে কাপড় পরিধান করেন।
এ ব্যাপারে লালমনিরহাট সিভিল সার্জন ডাঃ নির্মলেন্দু রায়ের সাথে মোবাইলে কথা হলে তিনি বলেন, বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে কোন চিকিৎসকই এরকম কাজ করতে পারে না। আর এটা মেনে নায়াও যায় না। আমি বিকেলে অফিসে ছিলাম না। তাই এ ব্যাপারে কেউ অভিযোগ দিয়েছে কি না তার জানা নেই। যদি কেউ অভিযোগ দিয়ে থাকেন তাহলে বিষয়টি তদন্ত করা হবে এবং তদন্তে ঘটনার সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।