মহামারী নিয়ন্ত্রণের বিধি-নিষেধের মধ্যে আরও ৯ জোড়া আন্তঃনগর এবং ১০ জোড়া মেইল ও কমিউটার ট্রেন চালু করেছে রেলওয়ে। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী বুধবার (৯ জুন) সকাল থেকে এসব ট্রেন চলাচল শুরু করেছে।
এর আগে, গত রোববার বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালকের ট্র্যাফিক ট্রান্সপোর্টেশন শাখা থেকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয়।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি রোধে গত ৫ এপ্রিল সরকার লকডাউনের বিধিনিষেধ আরোপ করলে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। সরকার ২৩ মে দূরপাল্লার যাত্রী পরিবহনে বিধিনিষেধ শিথিল করে। এরপর ২৪ মে থেকে ট্রেন চালানোর ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ রেলওয়ে। প্রাথমিকভাবে সারাদেশে ২৮ জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন, ৯টি মেইল এক্সপ্রেস ও কমিউটার ট্রেন চলাচল শুরু হয়। এসব ট্রেনের অর্ধেক আসন ফাঁকা রাখা হচ্ছে এবং সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হচ্ছে।
আজ থেকে নতুন যেসব ট্রেন চলাচল শুরু হলো- ঢাকা-ময়মনসিংহ-তারাকান্দা রুটের ‘অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস’, ঢাকা-সিলেটের ‘জয়ন্তিকা/উপবন এক্সপ্রেস’, চট্টগ্রাম-সিলেটের ‘পাহাড়িকা/উদয়ন এক্সপ্রেস’ আন্তঃনগর ট্রেন। এছাড়া রাজশাহী-চিলাহাটির ‘বরেন্দ্র এক্সপ্রেস’, খুলনা-চিলাহাটির ‘সীমান্ত এক্সপ্রেস’, ঢাকা-কুড়িগ্রামের ‘কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস’, পঞ্চগড়-ঢাকার ‘পঞ্চগড় এক্সপ্রেস’ এবং পঞ্চগড়-রাজশাহীর ‘বাংলাবান্ধা এক্সপ্রেস’ চলবে।
ঢাকা/চট্টগ্রাম মেইল, সুরমা মেইল, তিতাস কমিউটার, দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার, ময়মনসিংহ এক্সপ্রেস, মহুয়া কমিউটার, রাজবাড়ী এক্সপ্রেস, বিরল কমিউটার, বগুড়া কমিউটার এবং বোনারপাড়া-শান্তাহার কলেজ ট্রেন মোট ১০টি মেইল ও কমিউটার ট্রেনের চলাচল পুনরায় শুরু হচ্ছে আজ থেকে।
এদিকে, মহামারি নিয়ন্ত্রণের বিধিনিষেধের মধ্যে ট্রেনের সব টিকেট অনলাইনে টিকেট বিক্রি করা হচ্ছিল। তবে গতকাল মঙ্গলবার থেকে আন্তঃনগর ট্রেনের টিকেট কাউন্টারে বিক্রি শুরু হয়েছে।
ট্রেনের আসনসংখ্যার অর্ধেক ফাঁকা রাখার সিদ্ধান্ত বহাল রেখে রেলওয়ে জানিয়েছে, বাকি অর্ধেক আসনের টিকেট সমভাবে কাউন্টার এবং অনলাইনে ৮ জুন মঙ্গলবার সকাল আটটা থেকে বিক্রি করা হচ্ছে।