বিশ্ববাজারে দুই বছরের শীর্ষে উঠে এসেছিল জ্বালানি তেলের দাম। তিন দিনের ব্যবধানে গতকাল হঠাৎ কমেছে জ্বালানি পণ্যটির দাম। জ্বালানি তেল খাতের বিনিয়োগকারীরা ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার পরমাণু সংলাপের ফলাফল নিয়ে আশাবাদী। ১০ জুন এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে, যা বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেল সরবরাহ বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।
অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক বাজার আদর্শ ব্রেন্টের আগস্টে সরবরাহ চুক্তিমূল্য ব্যারেলপ্রতি ৩৮ সেন্ট বা দশমিক ৫ শতাংশ কমে ৭১ ডলার ৫১ সেন্টে নেমে গেছে। এর আগে শুক্রবার জ্বালানি তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ৭২ ডলার ২৭ সেন্টে উঠেছিল, যা দুই বছরের সর্বোচ্চ।
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের বাজার আদর্শ ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) জুলাইয়ে সরবরাহ চুক্তিমূল্য ব্যারেলপ্রতি ৭০ ডলারে উঠেছিল। তবে গতকাল এটির দাম ব্যারেলপ্রতি ৩০ সেন্ট বা দশমিক ৪ শতাংশ কমে ৬৯ ডলার ৩২ সেন্টে নেমে আসে।
সিঙ্গাপুরভিত্তিক ফিলিপস ফিউচারসের ঊর্ধ্বতন পণ্যবাজার ব্যবস্থাপক আভতার সান্দু বলেন, ডব্লিউটিআইয়ের দাম ব্যারেলপ্রতি ৭০ ডলারে ওঠার পর বিনিয়োগকারীরা মুনাফা বাড়ানোর আশায় বেশকিছু চুক্তি বিক্রি করতে সক্ষম হয়েছিলেন। মূলত আন্তর্জাতিক বাজারে ইরানি জ্বালানি তেল সরবরাহ চালু হওয়ার সম্ভাবনায় দাম কমেছে।
রয়টার্স জানায়, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলোতে গ্রীষ্মকালীন ভ্রমণের ওপর আরোপিত বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে। এতে দুই সপ্তাহ ধরে ব্রেন্ট ও ডব্লিউটিআইয়ের বাজার ঊর্ধ্বমুখী ছিল। পাশাপাশি জ্বালানি তেলের চাহিদা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ১০ জুন ভিয়েনায় ইরানের সঙ্গে বৈশ্বিক পরাশক্তি দেশগুলোর পরমাণু সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে। এ সংলাপে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ওপর থেকে জ্বালানি তেল রফতানির ওপর আরোপিত অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে দিতে পারে। বিশ্লেষকদের প্রত্যাশা, নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলে ইরান দৈনিক ৫-১০ লাখ টন জ্বালানি তেল উত্তোলন করতে সক্ষম হবে।