গভীর রাতে শিশুর কান্নার শব্দে ঘুম ভাঙে এক দম্পতির। এরপর প্রতিবেশিদের সঙ্গে নিয়ে কান্নার উৎস খুঁজতে থাকে তারা। এরপর কান্নার কাছাকাছি গিয়ে দেখতে পান এক ফুটফুটে নবজাতক।
বাগেরহাটের সদর উপজেলার বেমরতা ইউনিয়নের চিতলী-বৈটপুর গ্রামের এক চায়ের দোকানে থাকা ক্যারামবোর্ডের উপরে কেউ রেখে যায় এই শিশুটিকে। অনুমান করা হচ্ছে নবজাতকটির বয়স মাত্র দুই দিন।
সোমবার (০৭ জুন) ভোরের দিকে ৯৯৯ এ কল পেয়ে নবজাতককে উদ্ধার করে পুলিশ। নবজাতকটি বাগেরহাট সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। নবজাতকটি সুস্থ আছে বলে জানিয়েছেন সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক।
বাগেরহাট সদর হাসপাতালের শিশু বিষয়ক কনসালটেন্ট ডা. খান শিহান মাহমুদ বলেন, ভর্তি হওয়া এই শিশুটির বয়স আনুমানিক দুই দিন হবে। সে এখন সুস্থ্য রয়েছে। আমরা শিশুটিকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রদান করছি।
চিতলী-বৈটপুর গ্রামের শরীফা বেগম বলেন, গভীর রাতে কান্নার শব্দ টের পেয়ে আমার ঘুম ভেঙ্গে যায়। পরে ঘুম থেকে উঠে কান্নার আওয়াজের উৎস খুজতে থাকি। এক পর্যায়ে এক চায়ের দোকানের পেছনে রাখা ক্যারামবোর্ডের উপরে নবজাতকটিকে দেখতে পাই। পরে আমি ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে পুলিশকে বিষয়টি জানাই।
বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) মোঃ আছাদুজ্জামান বলেন, ভোর রাতে ৯৯৯ এ একটি ফোনের মাধ্যমে আমরা খবর পাই চিতলী-বৈটপুর এলাকায় চায়ের দোকানের ক্যারামবোর্ডের উপর একটি নবজাতক পড়ে আছে। আমরা তাৎক্ষনিকভাবে ঘটনাস্থল থেকে নবজাতকটিকে উদ্ধার করে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করি।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান বলেন, নবজাতকটি আপতত পুলিশ পাহারায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। পরবর্তীতে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তাকে বেবি হোমে স্থানান্তর করা হবে। ইতিমধ্যে নবজাতককে দত্তক নিতে বাগেরহাট জেলা শিশুকল্যাণ বোর্ডের কাছে আবেদন করেছেন একাধিক নিঃসন্তান দম্পতি। শিশুকল্যাণ বোর্ডের সভায় সিদ্ধান্ত মোতাবেক আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।