বাংলাদেশের সর্ব বৃহৎ সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে। পরিমাণের চেয়ে অধিক পণ্য নিয়ে যাতায়াত,স্পীড বোডের অবাধ চলাফেরা বর্ষায় পানির অধিক স্রোত এসবই কাল হয়ে দারিয়েছে তিস্তা ব্যারাজের।
২০১৪ সালে তিস্তা ব্যারাজের ফাটল দেখা দেয়ায় পানি উন্নয়ন বোর্ড (বোর্ড) সেই সময় থেকে ২০ টনের অধিক পরিমাণের সকল পরিবহন চলা ফেরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে। ব্যারাজের সামনে ও পেছনে তৈরি করা হয় নির্দিষ্ট গেট যাতে করে কোনো প্রকার বড় মাপের কোনো পরিবহন যাতায়ত করতে না পারে।
কিন্তু বর্তমান পেক্ষাপট সমপূর্ণটাই ভিন্ন,স্থানীয় কিছু ট্রাক মালিকেরা অসাধু প্রন্থা অবলম্বন করেছে, তারা নির্দিষ্ট সীমানা দিয়ে যেন অধিক পরিমাণ পণ্য নিয়ে যাতায়াত করতে পারে এমন পরিবহন তৈরি করেছে। যার ফলে ২৫ থেকে ৩০ টন পরিমাণ নিয়ে দৈনিক ১০০ থেকে ১৫০ ট্রাক ব্যারাজের উপর দিয়ে যাতায়ত করছে। এভাবে ভারী যান পন্য নিয়ে যাতায়াত করায় যে কোনো সময় বড় ধরণের যেকোনো ক্ষতি সাধন হতে পারে তিস্তা ব্যারেজের।
বাংলাদেশের সর্ব বৃহৎ সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজকে সামনে রেখে সরকার যে মেগা প্রকল্প হাতে নিয়েছে তাতে এই মুহুুর্তে রড় ধরণের কোনো ক্ষতি হলে বাধা গ্রস্থ হতে পারে সরকারের উন্নায়নের এই মেগা প্রকল্পটি। এমনটাই মনে করছেন জেলার কয়েক জন সুশীল ব্যক্তি।
তিস্তা ব্যারাজ দেখভাল করার জন্য পাউবোর অধিনে থাকা রয়েছে দুটি আনসার ক্যাম্প, ও রয়েছে দুটি চেক পোষ্ট তার পরেও এসব অধিক পণ্যবাহী পরিবহন কিভাবে যাতায়াত করে তা বোধগম্য নয় বলে বলছিলেন স্থানীয়, নাম প্রকাশ না করা একজন ব্যক্তি। তিস্তা ব্যারাজ কে রক্ষা করতে হলে এসব পরিবহন,স্পীডবোডের অবাধ চলা ফেরা বন্ধ করা অতি জরুরী তা না হলে দক্ষিণ এশিয়ার সর্ব বৃহৎ এই পানি সেচ প্রকল্পটির ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে এমনটাই মনে করছেন তিস্তা পারের জনসাধারণ।
দোয়ানী পুলিশ ফাঁড়ির এস আই সিদ্দিক এর কথা হলে তিনি বলেন, আমাদেরকে পাউবোর পক্ষ থেকে কোনো প্রকার নির্দেশ দেওয়া হয়নি অনুমতি পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে ডালিয়া পানি উন্নায়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইলাম বলেন, তিস্তা ব্যারাজে ফাটল দেখা দেওয়ায় দীর্ঘদিন থেকে বন্ধ ও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে ভারী সকল প্রকার যানবাহনের। তার পরেও যদি এরকম কোনো পরিবহন ব্যারাজের উপর দিয়ে যাতায়াত করে সেটা আমার বোধগম্য নয়, বিষয়টি আমরা জানতেপারলাম এবং পরবর্তীতে এরম ঘটনা ঘটলে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার আশ্বাস দেন তিনি।
তার পরেও তিনি একটি যুক্তি তুলে ধরে বলেন, আমাদের ওজন পরিমাপের জন্য কোন স্কেল নেই আরও একটি বিষয় হলো নির্দিষ্ট সীমানা দিয়ে যে সকল পরিবহণ যাতায়ত করতে পারবে তাদের বৈধতা রয়েছে।