বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:১০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
পটুয়াখালীতে মাদ্রাসা থেকে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে কিশোরকে অপহরণ। ইজতেমা ময়দানে নিহতের ঘটনায় জামায়াত আমিরের শোক জেলা জজের ড্রাইভার পরিচয়ে অবৈধভাবে জমি দখলের চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন পটুয়াখালীতে হত্যার উদ্দেশ্য সাংবাদিককে বেধরক মারধর থানায় মামলা। কসম পাচার কালে মূল হোতা আটক গলাচিপায় চেতনানাশক দ্রব্য ব্যবহার করায় মা-ছেলে অসুস্থ  গলাচিপায় পাচারের সময় ১৭ কচ্ছপসহ ব্যবসায়ী আটক লালমনিরহাটে আ.লীগ নেতা সুমন খান ও স্ত্রীর ব্যাংকে ২৩৭ কোটি টাকা, অর্থপাচার মামলা গলাচিপায় পুলিশের মধ্যস্থতায় আড়ৎদারের টাকা ফেরত দিয়েছেন ফল ব্যবসায়ী গলাচিপায় জেলেদের মাঝে চাল বিতরন

নেপালের পার্লামেন্ট ভেঙে দিলেন প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : শনিবার, ২২ মে, ২০২১
  • ৩১৯ সময় দর্শন

রাজনৈতিক টানাপোড়েনের জের ধরে নেপালে পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারী। শুক্রবার (২১ মে) রাতে পার্লামেন্ট ভেঙে দেন তিনি।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

খবরে বলা হয়, শুক্রবারের (২১ মে) মধ্যে নতুন সরকার গঠনের সময়সীমা বেঁধে দেন প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারী। কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী কে. পি. শর্মা অলি বা বিরোধীদলের নেতা শের বাহাদুর দেউবার কেউই এই সময়ের মধ্যে নতুন সরকার গঠনের মতো সংখ্যা গরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেননি। এ কারণে শুক্রবার মধ্যরাতে হঠাৎ করে সংসদ ভেঙে দিয়ে আগামী নভেম্বর সাধারণ নির্বাচনের ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট।

প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবীর পক্ষ থেকে দেয়া বিবৃতিতে বলা হয়, আগামী ১২ নভেম্বরের মধ্যে সাধারণ নির্বাচনের প্রথম ধাপ ও ১৯ নভেম্বরের মধ্যে দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন সম্পন্ন করার আদেশ দিয়ে হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভ ভেঙে দিলেন প্রেসিডেন্ট।

এতে আরও বলা হয়, তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী কে. পি. শর্মা অলির নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভার সুপারিশক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে অলির সংসদ ভেঙে দেয়ার সিদ্ধান্তকে ঘিরে নেপালে সপ্তাহব্যাপী বিক্ষোভ-সহিংসতার ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে সুপ্রিম কোর্ট তার এই সিদ্ধান্তকে অসাংবিধানিক বলে রায় দেন।

তবে প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারীর আকস্মিক এই ঘোষণার বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি সংসদের আস্থাভোটে পরাজিত হয়েছিলেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি। তারপর থেকেই নেপালে রাজনৈতিক টানাপোড়েন চলছে। পরবর্তী সরকার গঠন নিয়ে কৌশল সাজাচ্ছিল বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। এই পরিস্থিতিতে নতুন সরকার গড়তে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারী।

প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে ছিলেন নেপালি কংগ্রেসের নেতা শের বাহাদুর দেউবা। কিন্তু নেপালের কমিউনিস্ট পার্টির নেতা ‘প্রচণ্ড’ ওরফে পুষ্পকমল দহলের সমর্থন পেলেও জনতা সমাজবাদী পার্টির সমর্থন পেতে ব্যর্থ হন তিনি। যার কারণে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে ব্যর্থ হন তিনি।

প্রসঙ্গত, নেপালি পার্লামেন্টে কংগ্রেসের ৬১ এবং প্রচণ্ডের দলের ৪৯ জন সংসদ সদস্য ছিলেন। তবে এদের সম্মিলিত ১১০টি আসন সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার পক্ষে যথেষ্ট নয়। ২৭৫ আসনের নেপালি পার্লামেন্টে বর্তমানে ২৭১ জন সদস্য রয়েছেন। ফলে ম্যাজিক ফিগার ছিল ১৩৬। ওলিকে সমর্থন জানান ১২১ জন সংসদ সদস্য।

আরো পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পড়ুন এই বিভাগের আরও খবর

Chairman Md. Azadul Islam. CEO Md. Amir Hossain. Editor S, M, Shamim Ahmed. Managing Director Md. Lokman Mridha, office House # 43 ( Ground Flooor ) 47 Road No. 30, Mirpur, Dhaka Division - 1216

 

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: রায়তা-হোস্ট
tmnews71