করোনার কারণে স্কুল কলেজ বন্ধ থাকায় ময়মনসিংহের ভালুকায় গ্রাম কিংবা শহরের শিশু-কিশোর, তরুণ ও স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা ক্রমান্বয় আসক্ত হয়ে পড়ছে মোবাইল গেমসের প্রতি। দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ মোতাবেক চলছে ভার্চুয়াল ও অনলাইন ক্লাস। যেখানে ঘরে বসেও যুক্ত থাকা যায় ঐ সব ক্লাসে। আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির অবাধ অগ্রগতির যুগে করোনা পরিস্থিতিতে প্রতিষ্ঠানের পক্ষে ছাত্র-ছাত্রীর ইতিবাচক মানসিকতা ও শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত না হওয়ার কারণে ওইসব অনলাইন ক্লাসে যুক্ত থাকার কথা বলা হয়। তবে অধিকাংশ ছেলেমেয়েরা ক্লাসে যুক্ত থাকুক আর নাইবা থাকুক যুক্ত হচ্ছে বিভিন্ন মোবাইল গেমসে। তবে ছোট হোক আর বড়হোক সকলেই এখন ফ্রী ফায়ার গেমস নিয়ে ব্যস্ত।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণার পর থেকে বাধ্যতামূলক শুরু হয় ভার্চুয়াল ক্লাস। প্রতিষ্ঠানের পক্ষে তাদের ছাত্র-ছাত্রীদের যুক্ত হতে বলা হয় ওইসব ভার্চুয়াল ক্লাসে। যেখানে ছাত্র-ছাত্রীদের এন্ড্রয়েড ফোনের ব্যবহার খানিকটা বাধ্যতামূলক করা হয়। তবে অধিকাংশ শিক্ষার্থীই ভার্চুয়াল ক্লাসের পাশাপাশি বন্ধুদের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন মোবাইল ভিত্তিক বিভিন্ন গেমসে। বর্তমানে যা রীতিমতো তাদের আসক্তিতে পরিণত হয়েছে। বই খাতা তো দূরে থাক নাওয়া খাওয়া বাদ দিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা কখনোবা দিনের বেশিরভাগ সময় তারা পার করছে মোবাইল গমসে। কখনও বাড়ির নিরিবিলি পরিবেশ কিংবা বিভিন্ন অজুহাতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে চায়ের দোকান,পরিত্যক্ত ভবন, ফাঁকা মাঠ কিংবা শান্ত পরিবেশে তারা দলবেঁধে মেতে উঠছে মোবাইল গেমসে।