পটুয়াখালীতে নিজের ইট ভাটার জন্য সাধারণ মানুষের জমি জবরদখলের অভিযোগ রয়েছে, এ বিষয় আজ সকাল আনুমানিক ১১ঃ০০ টার সময় ভুক্তভোগীদের পরিবারের সদস্যরা জমি জবরদখলের বিরুদ্ধে মানব বন্ধনের আয়োজন করেন, এ মানব বন্ধণে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর নারী পুরুষ সহ প্রায় শতাধিক ব্যাক্তি উপস্থিত ছিলেন, এ সময় ভুক্তভোগীরা বলেন পটুয়াখালী জেলা শ্রমিকলীগের বর্তমান সভাপতি, ইটবাড়ীয়া ইউনিয়নের শারিকখালী গ্রামে গত ২০০৯ সালে সুপার ব্রিকফিল্ড নামে একটি ইটের ভাটা স্থাপন করেন, স্থানীয়দের অভিযোগ ইট ভাটা নির্মানের জন্য প্রয়োজনীয় জায়গার সংকুলান হওয়ায় এবং কোন ব্যাক্তি জমি বিক্রি করতে রাজী না হওয়ার ফলে তখন থেকেই ভাটা মালিক তোফাজ্জেল হোসেন একে একে স্থানীয়দের জমি জবরদখল করতে শুরু করেন।
জমি জবরদখলকৃতদের মধ্যে আকবর চৌকিদারের. ১২ শতাংশ, লতিফ মুন্সীর . ১২ শতাংশ, হরলাল ধুপীর. ১৫ শতাংশ, ফারুক মুন্সীর. ১৯ শতাংশ, আলতাফ হাওলাদারের. ৪৮ শতাংশ, বশার চৌকিদারের. ৬৩ শতাংশ, করিম খানের. ১৫ শতাংশ, আলতু আকনের. ১৫ শতাংশ, দেলোয়ারের. ১২ শতাংশ, মোঃ ইসাহাক. ৭.৫ শতাংশ, হাফেজ হাবিবুর রহমান এর. ১২ শতাংশ, মোশারেফ আকন. ১৫ শতাংশ, এবং ডাঃ শামসুল হক আকনের. ০৯ শতাংশ সহ এলাকার একাধিক ব্যাক্তির জমি জবরদখলের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এতে করে এলাকার প্রায় ২০/২৫ জনের জমি ইতিমধ্যে দখলে নিয়েছেন তিনি, তবে এর জন্য কাউকে কোন টাকা পয়সা নাদিয়ে উল্টো হুমকি দেয়ারও অভিযোগ স্থানীয়দের।
এলাকাবাসী আরও জানায় কিছু দিন পূর্বে আকবর চৌকিদার নিজের জমিতে ভেকু দিয়ে মাটি কাটতে গেলে ভেকুর ড্রাইভারকে মারধর করে তারিয়ে দিয়ে সেই জমি ভাটা মালিক তোফাজ্জেল হোসেন নিজের বলে চালিয়ে নেয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার অনেকেই বলেন তার বিরুদ্ধে কথা বল্লেই অমানুষিক নির্যাতনের স্বীকার হতে হয়, সেকারণেই বাধ্য হয়েই অনেকেই এ বিষয় মুখ খুলতে রাজি নয়, বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি হওয়ায় তার বিরুদ্ধে অনেকেই মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না,তবে এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো তাদের জমি ফেরত পেতে স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা সহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে ন্যায় বিচারের আবেদন জানায় এবং তাদের জমি ফেরত দেয়ারও অনুরোধ জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। এ বিষয় জানতে অভিযুক্ত ভাটা মালিক তোফাজ্জেল হোসেন এর সাথে বিভিন্ন ভাবে যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।