পটুয়াখালীর গলাচিপায় কৃষকদের জন্য কৃষি প্রযুক্তিতে নতুন করে যুক্ত হলো ৪টি কম্বাইন হারভেস্টার, রিপার ও রাইস মেশিন। ২০২০-২০২১ অর্থ বছরের রবি মৌসুমের উন্নয়ন সহায়তার আওতায় ভর্তুকি মূলে বিভিন্ন কৃষি উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সভাপতিত্বে সোমবার বেলা ১২টায় কৃষি অফিস চত্বরে (ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে) প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ১১৩ পটুয়াখালী-৩ গলাচিপা-দশমিনা আসনের সংসদ সদস্য এস এম শাহজাদা (এমপি)।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুহম্মদ শাহিন শাহ। আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এসআরএম সাইফুল্লাহ, গলাচিপা প্রেস ক্লাবের সভপতি সমিত কুমার দত্ত মলয়। এ সময় উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ১৬শ ৫০জন কৃষকের মাঝে ৫ কেজি ব্রী-৪৮ ধানের বীজ, ড্যাপ ২০ কেজি, এমওপি ১০ করে বিতরণ করা হয়। ৪টি কম্বাইন হারভেস্টার, রিপার ও রাইস মেশিন বিতরণ করা হয়। এই মেশিনের মাধ্যমে পরীক্ষামূলক শুরু হবে রবি শস্য ব্রী-৪৮ ধানের চাষ।
কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় এই পদ্ধতিতে ধানের চারা রোপণ কার্যক্রম শুরু করা হবে। কৃষকরা বলছেন, নতুন এই প্রযুক্তি ও পদ্ধতির সহায়তায় উৎপাদন খরচ কমবে, বাড়বে উৎপাদন। এতে কৃষকের ধান কাটার সময় ও ধান মাড়াই হবে আধুনিক যন্ত্র কম্বাইন হারভেস্টারের মাধ্যমে। প্রযুক্তির এমন ব্যবহারে খুশি চাষীরা। চাষীরা জানান, আগে ধান লাগানো থেকে শুরু করে বাড়ি নেয়া পর্যন্ত আমাদের ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা খরচ হতো। এখন মেশিন ব্যবহারের ফলে ৫-৬ হাজার টাকা খরচ হবে।
একবিঘা জমিতে ধান রোপণ করতে ৫ জন লোক লাগতো, এখন মেশিন দিয়ে রোপণের ফলে শ্রমিক কম লাগবে। এই মেশিন দিয়ে ঘণ্টায় ৩০ শতাংশ বেশি জমিতে রোপণ করা যায় এবং এর তেল খরচও কম। মেশিনে চাষাবাদ হওয়ায় খরচ তুলনামূলক কম। এ সময় বিশেষ অতিথি শাহিন শাহ বলেন, শেখ হাসিনা সরকার কৃষি বান্ধব সরকার। কৃষকের কাছে মেশিনগুলো সহজলভ্য করতে ও কৃষকের কাছে পৌঁছে দিতে চাহিদা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করছে সরকার। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এসআরএম সাইফুল্লাহ বলেন, কৃষকদের মাঝে ৭০ ভাগ ভর্তুকি মূল্যে ৪টি কম্বাইন হারভেস্টার, রিপার ও রাইস মেশিন আধুনিক যন্ত্রপাতি দেয়া হয়েছে।