বেলা তিনটার দিকে সূত্রপাত হওয়া কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবিরের আগুন রাত পৌনে ১০টার দিকে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। ততক্ষণে ৯ হাজার ৬০০ ঘর পুড়ে গেছে বলে ধারণ করা হচ্ছে।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসনের অতিরিক্ত কমিশনার মো. সামছুদ্দৌজা নয়ন এ তথ্য দেন।
সোমবার বেলা তিনটার দিকে শিবিরের একটি ঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। সঙ্গে সঙ্গে আশপাশে ছড়িয়ে পড়লে একের পর এক রোহিঙ্গা বসতি পুড়ে যায়।
ঘটনার ব্যাপারে উখিয়া ফায়ার সার্ভিসের দলনেতা ইমদাদুল হক বলেন, সোমবার বেলা তিনটার দিকে শিবিরের একটি ঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। সঙ্গে সঙ্গে আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে। একের পর এক রোহিঙ্গা বসতি পুড়ে যায়। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য চারটি ইউনিট কয়েক ঘণ্টা ধরে কাজ করে। রাত পৌনে ১০টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।
কক্সবাজারের ১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক তারিকুল ইসলাম বলেন, ফায়ার সার্ভিস, সেনাবাহিনী, পুলিশ, এপিবিএন, বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার স্বেচ্ছাসেবক, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির স্বেচ্ছাসেবকেরা একযোগে আগুন নেভানোর কাজ করেছেন।
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন ক্যাম্পে সরিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি শুকনা খাবারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কাল সকাল থেকে তাদের রান্না করা খাবারের ব্যবস্থা করা হবে।
এর আগে সোমবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে উখিয়ার বালুখালী ৮ ও ৯ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সর্বশেষ রাত সাড়ে ৯টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলেও পুড়ে গেছে ৯ হাজারেও বেশি রোহিঙ্গাদের ঝুঁপড়ি ঘর। এছাড়াও পুড়ে গেছে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন এনজিও অফিস ও পুলিশ ব্যারাক।
এদিকে দীর্ঘ ৬ ঘণ্টা অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় হাজার হাজার লোক আশ্রয়স্থল হারিয়ে এক কাপড়ে আশ্রয় নিয়েছে কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়কে। আশ্রয়হারা লোকজন হারিয়েছে তাদের ক্যাম্পের ঝুঁপড়ি ঘরের সব মালামাল। আবার অনেকেই হারিয়েছে তাদের সন্তান-সন্ততিও।