পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় চেয়ারম্যান ও প্যানেল চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দেড় কোটি টাকার অনিয়ম, দূর্নীতি ও চাল আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলার ১নং রনগোপালদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল আজিজ ও প্যানেল চেয়ারম্যান অসীম সমদ্দার এর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ দাখিল করেন, একই ইউনিয়ন পরিষদের দক্ষিন যৌথা ০৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ অলিউল ইসলাম রুবেল। ইতিমধ্যে এ অভিযোগ পত্র দশমিনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে প্রেরন করা হয়।
অভিযোগে বলা হয় প্যালেন চেয়ারম্যান অসীম সমাদ্দার ইউপি সদস্য ও অত্র ইউনিয়নের আউলিয়াপুর দাখিল মাদ্রসায় অফিস সহায়ক পদে চাকরি করেন। ইউপি সদস্য শপথ নেয়ার পর একই সাথে মাদ্রাসার মাসিক বেতন ও ইউপি সদস্য পদের সরকারি বেতন ভাতাও উত্তোলন করেন। বিষয়টি একটি প্রতারনার সামিল । চেয়ারম্যান ও প্যানেল চেয়ারম্যান ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে দ্বতীয় ধাপের ৪০ দিনের কর্মসূচী বাস্তবায়নে কয়েকটি প্রকল্পের মাধ্যমে ২৪৮ জন লেবারের নামে ভিন্ন ভিন্ন সিম উত্তোলন করে রেজিষ্ট্রেশন করে নিজেদের কাছে রাখে, কোন কাজ না করে ৩৯ লক্ষ ৬৮ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন। ঐ সকল লেবারের সন্ধান পাওয়া গেলেও, এ কাজের বিষয় বা সিম উত্তোলনের বিষয় কিছুই জানেন না বলে দাবি তাদের।
এ ছাড়াও রনগোপালদী নদীতে বিআইডব্লিউ এর রনগোপালদী বাজার সংলগ্ন জেডি ও ব্রীজ এর সকল যন্ত্রাংশ কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে প্রায় ১০ লক্ষ টাকায় বিক্রি করেছেন মর্মেও অভিযোগ রয়েছে। সুত্র আরো জানায় যে, উন্নয়ন তহবিল থেকে প্রথম ধাপে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে ১৩ লক্ষ ৪০ হাজার টাক এবং দ্বিতীয় ধাপে ১৯ লক্ষ টাকা প্রাপ্ত হন। কিন্তু উক্ত টাকা নামে-বেনামে প্রকল্প দেখাইয়া কাজ না করে টাকা আত্মসাধ করেন। এছাড়াও ৭ টি টিউভয়েল বাবদ প্রত্যেক গ্রাহকদের কাছ থেকে ২৫-৩০ হাজার টাকা গ্রহন করেছেন।
অভিযোগে আরো বলা হয় ত্রান মন্ত্রনালয় থেকে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে বিশেষ বরাদ্দ ৬০ লক্ষ টাকা। বরাদ্দের উক্ত টাকার বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা, মন্দিরের নামে ভূতুরে প্রকল্প দেখিয়ে কাজ না করে আত্মসাধ করেন। এর আগে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ৪০ দিনের কর্মসূচী বাস্তবায়নে অনিয়ম ও দূর্নীতির বিরুদ্ধে ওই ইউনিয়নের ৮ জন ইউপি সদস্য ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ খ্রীঃ তারিখ প্রকল্পবাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও ৪ এপ্রিল নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এ সকল অভিযোগের বিষয় অভিযুক্ত ঐ চেয়ারম্যান আবদুল আজিজ বলেন, আমি ঢাকায় আছি। অভিযোগের বিষয় শুনেছি। অভিযোগকারী একজন ইউপি সদস্য তিনি ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে ৪০ দিনের কর্মসূচীর কাজ করেছেন্। যে সকল বিষয় অভিযোগ করেছেন তাহা সত্য নয়। প্যানেল চেয়ারম্যান অসীম সমাদ্দার বলেন আমি আউলিয়াপুর মাদ্রাসায় ক্লার্ক পদে কর্মরত আছি এবং রনগোপালদী ইউনিয়ন পরিষদেও সদস্য আছি । ইউনিয়ন পরিষদ ও মাদ্রাসা থেকে একই সাথে সরকারি বেতন ভাতার টাকা উত্তোলনের বিষয় যানতে চাইলে তিনি কোন কথা বলতে রাজি হয়নি। রনগোপালদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল আজিজ প্যানেল চেয়ারম্যান অসীম সমাদ্দার এর বিষয়ে বলেন, ইউপি সদস্য হিসাবে তার সরকার নির্ধারিত ভাতা প্রদান করা হয়। এমর্মে আউলিয়াপুর মাদ্রাসার সুপারিন্টেনডেন্ট বলেন, অফিস সহায়ক অসীম সমাদ্দারের এমপিও বেতন প্রদান করা হয়। আর কোন স্থান থেকে সরকারি কোন ভাতা উত্তোলন করেন কিনা আমার যানা নাই। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোসাঃ নাফিসা নাজ নীরা বলেন, লিখিত অভিযোগের বিষয়টি আপনাদের মাধ্যমে শুনেছি তবে আমার ধারনা জেলা প্রশাসক মহোদয় প্রয়োজনে অভিযোগটি তদন্ত সাপেক্ষে বিধি মোতাবেক পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।