পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবসে, বিভিন্ন শ্রেণী পেশার প্রতিনিধি সরকারি কর্মকর্তা ইউপি সচিব সহ সুধী ও শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে রোববার বেলা ১১ টায় উপজেলা কনফারেন্স হলে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পরে উপজেলা চত্বর থেকে বর্ণাঢ্য র্যালী বের হয়।
র্যালী`টি নেতৃত্ব প্রদান করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মিজানুর রহমান। এ সময়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মেজবাহ উদ্দিন, উপজেলা কৃষি অফিসার আরজু আক্তার, প্রকৌশলী (এলজিইডি) মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ মাহবুব হোসেন শিবলী, সিনিয়র সাংবাদিক মু.খালিদ হোসেন মিল্টন, সাংবাদিক সোহাগ রহমান , মু. জিল্লুর রহমান জুয়েল, দৈনিক বাংলাদেশ বুলেটিন পত্রিকার গলাচিপা উপজেলা প্রতিনিধি সঞ্জিব দাস প্রমুখ।
উল্লেখ্য, জানা গেছে, ১৮৭৩ সালের ২ জুলাই ব্রিটিশ সরকার অবিভক্ত বাংলায় জন্ম নিবন্ধন-সংক্রান্ত আইন জারি করে। এরপর ২০০১-০৬ সালে ইউনিসেফ-বাংলাদেশের সহায়তায় পাইলট প্রকল্পের মাধ্যমে ২৮টি জেলায় ও ৪টি সিটি করপোরেশনে জন্মনিবন্ধনের কাজ নতুন করে শুরু হয়।
জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন আইন, ২০০৪ এর ৮ ধারা অনুযায়ী, শিশু জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন এবং কোনো ব্যক্তির মৃত্যুর ৪৫ দিনের মধ্যে মৃত্যু নিবন্ধন করতে হবে।
জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অনুসারে ২০৩০ সালের মধ্যে ৮০ ভাগ মানুষকে নিবন্ধনের আওতায় আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন আইনে সবাইকে জন্ম ও মৃত্যুর দেড় মাসের মধ্যে নিবন্ধন সম্পন্ন করতে ‘জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস’ পালনের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন রাষ্ট্রের সকল পরিবারের নবজাতক শিশুর জন্ম নিবন্ধন ও মৃত্যু নিবন্ধন করা মৌলিক দায়িত্ব। দেশ ও বিশ্বে আগামী শিশুদের সকল অধিকারের লক্ষ্যে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন করার ক্ষেত্রে সকল পর্যায়ে দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠান ও সচেতন হওয়ার জন্য ইউনিয়ন পরিষদে ও পৌরসভায় সঠিক তথ্য প্রদানের মাধ্যমে নাগরিক সুরক্ষা সেবা অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।