নেত্রকোণার মদনে পৈত্রিক সম্পত্তি জোরপূর্বক দখলের অভিযোগ উঠেছে ভাতিজা খসরু মিয়ার বিরুদ্ধে। এছাড়াও বাদীকে মারধরসহ মেরে ফেলার হুমকি প্রদানেরও অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি উপজেলার ফতেুপুর ইউনিয়নের বনতিয়শ্রী গ্রামে। এ ঘটনায় উপজেলার বনতিয়শ্রী গ্রামের মৃত তোতা মিয়ার ছেলে জবরিল মিয়া (৫১) বাদী হয়ে ওই গ্রামের মৃত আঃ কদ্দুছের ছেলে খসরু মিয়া (৩৫), মামুন মিয়া (৩৩), অপু মিয়া (২৫) ও মৃত হাসিম উদ্দিনের ছেলে মানিক মিয়ার (৩৫) বিরুদ্ধে মদন থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করেছে।
লিখিত অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার বনতিয়শ্রী গ্রামের জবরিল মিয়া গংদের সাথে তার ভাতিজা খসরু মিয়া গংদের পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত শত্রুতা চলে আসছিল। জবরিল মিয়াসহ তার পরিবারের লোকজন সিলেট থাকার সুযোগে জমি দখল করে নেয় তার ভাতিজারা। তরপর এলাকায় এসে জমি দখল নিতে গেলে মারপিট করতে উদ্যত হয় খসরু মিয়াসহ তার লোকজন। এ নিয়ে এলাকার স্থানীয় সাবেক রফিক চেয়ারম্যানসহ গন্যমান্য লোকজন দরবার শালিস করলে বিবাদীরা দরকার শালিশ না মেনে জমি দখল করে রাখে।
এদিকে গত ২৮ জুন সকালে বিয়াশি মৌজামু এলাকায় বাদীর জমিতে গেলে অকথ্য ভাষায় গালাগালিসহ দেশীয় অস্ত্র রামদা দিয়া মারপিট করতে উদ্যত হয়। তাদের ডাক- চিৎকারে এলাকার লোকজন এসে তাদের উদ্ধার করে। এসময় তাদের প্রকাশ্যে হুমকি দেয় এবং জমিতে গেলে মেরে ফেলার হুমকি দেয় খসরু মিয়ার লোকজন। সুষ্ঠু বিচারের দাবী ভোক্তভুগীদের।
বাদী জবরিল মিয়া বলেন, ‘আমিসহ আমার পরিবারের লোকজন দীর্ঘদিন যাবত সিলেট অবস্থান করি। সেই সুযোগে আমার ভাতিজাগণ আমাদের সম্পত্তি দখল করে নেয়। ফেরত চাইতে গেলে গালিগালাজসহ মারপিট করতে উদ্যত হয়। শুধু তাই নয়, আমাদের ঘরে এসে আমিসহ পরিবারের লোকজনকে গলায় গামছা পেচিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এছাড়াও নিজেদের ঘর নিজেরাই ভেঙ্গে আমাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করছে। বিচারের দাবী জানাই।’
ওই গ্রামের ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো: তহুর উদ্দিন, সাবেক ইউপি মেম্বার নাজির আহমদ উলাসসহ আরো অনেকে বলেন, ‘জমি বিরোধ নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। দরবার শালিশ বসলে এক পক্ষ আসলেও অন্য একটি পক্ষ আসেনা। এতে সমস্যা সমাধান করা সম্ভব হয়না। সমস্যা সমাধান না হলে যেকোন সময় এলাকায় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে।’
এ বিষয়ে খসরু মিয়া বলেন, ‘বিষয়টি আইনী প্রক্রিয়ায় বিচারাধীন রয়েছে। যে রায় হবে তাই মেনে নেয়া হবে। তবে জমির বিষয় নিয়ে আমার ঘরের আসবাবপত্রসহ নগদ টাকা নিয়ে গেছে বাদীপক্ষ। আমি থানায় অভিযোগ করেছি। সুষ্ট তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের দাবী জানাচ্ছি।’
মদন থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম শরিফ বলেন, ‘বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে বিষয়টির সঠিক তথ্য জানা যাবে।’