করোনা বাস্তবতায় বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞরা জাপানে না যেতে পারায় জাপানী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমেই সক্ষমতা যাচাই করাতে হয়েছে মেট্রোরেলের কোচ এবং বগির। তবে বাংলাদেশের প্রকৌশলীরা ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে যুক্ত থেকে প্রত্যক্ষ করেছেন যাচাই কার্যক্রম। কর্তৃপক্ষ বলছে ঢাকায় আসার পর আরেক দফা যাচাই শেষে পরীক্ষামূলক চলাচল শুরু করবে মেট্রোরেল।
করোনা বাস্তবতায় কিছুটা ধীরে চললেও থেমে থাকেনি রাজধানীর বুক চিরে মেট্রোরেলের অবকাঠামো নির্মানের কাজ। ডিএমটিসিএল বলছে প্রকল্পের মোট অগ্রগতি ৫৭ ভাগ। যার মধ্যে উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশের অগ্রগতি ৮০ ভাগ এবং আগারগাঁও থেকে বাংলাদেশে ব্যাংক পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণের কাজ হয়েছে ৫২ ভাগ।
অতিকায় এ স্থাপনার ওপর দিয়ে চলার জন্য জাপান থেকে মেট্রোরেলের কোচ ও ইঞ্জিন বাংলাদেশে আনার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। তবে করোনা মহামারীর কারণে সে দেশে গিয়ে তা পর্যবেক্ষণের সুযোগ হয় নি মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের। তাদের হয়ে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানী করেছে ইন্সপেকশনের কাজ।
ডিএমটিসিএল বলছে দেশে পৌঁছানোর পর কোচ ও বগির আরেক দফা ইন্সপেকশনের পর শুরু হবে পরীক্ষামূলক চলাচলকরোনা মহামারীর কারণে এবছর ১৬ ডিসেম্বর মেট্রোরেল চালু হবে কিনা তা নিয়েও শঙ্কা রয়েছে কর্তৃপক্ষের।
প্রকল্প পরিচালক জানান করোনার কারণে জাপান থেকেও মেট্রোরেল প্রকল্পের প্রকৌশলীদের কেউ কেউ এখনও বাংলাদেশে আসতে পারেননি।