আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর বরাদ্দে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত রানা লাবু ও তার পিএস নুরুল ইসলামকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
সোমবার বিকেলে নাটোরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. গোলাম ফারুক ইউপি চেয়ারম্যান লাবুর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। চেয়ারম্যান লাবুর আইনজীবী আজিজুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালে সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতাধীন ঘর করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বেশ কয়েকজনের কাছে ঘুষ নেন চেয়ারম্যান শওকত রানা লাবু ও তার ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) নুরুল ইসলাম। আশ্রয় পাওয়ার আশায় নিরুপায় হয়ে ইউনিয়নের চন্দ্রপুর মাঝপাড়া (লহ্মীপুর) এলাকার দিনমজুর মো. জালাল উদ্দিন শেখ ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দেন। তিনি এক আত্মীয়ের কাছ থেকে ওই ৫০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে চেয়ারম্যানের পিএসের হাতে তুলে দেন।
পরে ঘর না পেয়ে জালাল উদ্দিন শেখ বাদী হয়ে গত ১ ডিসেম্বর চেয়ারম্যান শওকত রানা লাবু ও তার পিএসের বিরুদ্ধে গুরুদাসপুর থানায় মামলা করেন। মামলার কপি তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়েও পাঠান। তবে চেয়ারম্যান লাবু এই মামলায় হাইকোর্ট থেকে আট সপ্তাহের আগাম জামিন পান।
এদিকে এক সপ্তাহ আগে দারিদ্র বিমোচন ও সমাজসেবায় বিশেষ অবদানের জন্য ঢাকা সাংস্কৃতিক সংগঠন থেকে জেলার ‘শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান পদক’ পান ইউপি চেয়ারম্যান লাবু। সোমবার আগাম জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় লাবু চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।