এখনও খোঁজ মেলেনি লঞ্চ থেকে পড়ে যাওয়া যুবকের ১৪ ঘণ্টা পার হলেও এখনও খোঁজ মেলেনি লঞ্চ থেকে পড়ে যাওয়া যুবকের। এদিকে সন্ধ্যায় ঘনিয়ে আসায় নৌ পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের অভিযান আপাতত স্থগিত করা হয়েছে।
শুক্রবার (১০ মার্চ) সন্ধ্যায় ছয়টা পর্যন্ত দশমিনা উপজেলার তেঁতুলিয়া নদীতে নৌ পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দল একটা অভিযান চালিয়েও তার হদিস পায়নি।ওই যুবকের নাম সাইফুল বিশ্বাস (২৬)। তার বাড়ি রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের উত্তর চরমোন্তাজ গ্রামে। সাইফুল ওই গ্রামের হানিফ বিশ্বাসের ছেলে এবং পেশায় কৃষক।
এদিকে সাইফুলের কোনো সন্ধান না পাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন তার পরিবার ও স্বজনরা। নিখোঁজ সাইফুলের ভাই বাদশা বিশ্বাস জানিয়েছেন, যারা উদ্ধার অভিযান চালিয়েছে তাদের সঙ্গে আমরাও ট্রলার নিয়ে খুঁজেছি। কিন্তু পাইনি। উদ্ধারকারী ফায়ার সার্ভিস ও নৌ-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৯টায় শুরু হওয়া উদ্ধার অভিযান সন্ধ্যা ছয়টায় বন্ধ হয়। দশমিনা নৌ-পুলিশের ইনচার্জ মো. সুরুজ আল-মামুন জানান, সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায় আলো স্বল্পতার কারণে উদ্ধার অভিযান বন্ধ রাখা হয়েছে।
এ ব্যাপারে দশমিনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাফিসা নাজ নীরা জানান, উদ্ধার অভিযান সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হয়েছে। নৌ-পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস এবং ডুবুরি সবাই সন্ধ্যা পর্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গেই চেষ্টা চালিয়ে গেছেন। শনিবার নাগাদ কোনো লাশ ভেসে উঠে কিনা সে বিষয়ে নজর রাখতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ঢাকায় তরমুজ বিক্রি করে সাইফুল তার বাবা ও ভাইর সঙ্গে ঢাকা-রাঙ্গাবালী নৌরুটের যাত্রীবাহী লঞ্চ পূবালী-৫ যোগে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়। পথে ভোর পাঁচটার দিকে দশমিনায় তেঁতুলিয়া নদী অতিক্রমকালে ফজরের নামাজের জন্য লঞ্চের পেছনের দিকে ওজু করতে গিয়ে নদীতে পড়ে যায়। পরিবারের তথ্যমতে, সাইফুলের মৃগী রোগ ছিল। ধারণা করা হচ্ছে একারণেই সে মাথা ঘুরে পড়ে যেতে পারে।