‘আমার পরিবার বাংলাদেশের মানুষ। আমি পঁচাত্তরে আমার পরিবার হারিয়েছি। আমার বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সারাজীবন দেশের মানুষের জন্য করে গেছেন। দেশের উন্নয়নের জন্য করে গেছেন। তাই আপনারাই আমার পরিবার।
মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) কিশোরগঞ্জের হাওর উপজেলা মিঠামইনে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব বলছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমাদের সব কাজই জনগণের কল্যাণে হয়ে থাকে। জনগণের জন্যই আমরা কাজ করছি। আমি নিঃস্ব, রিক্ত আমি। আমার চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই। জনগণের সেবাই হচ্ছে আমার একমাত্র লক্ষ্য। আপনারা নৌকায় ভোট দেবেন, আমরা উন্নয়ন করব। ’
আগামী জাতীয় নির্বাচনে কিশোরগঞ্জবাসীকে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নৌকা মার্কায় ভোট দিলেই দেশের উন্নতি হয়। আগামী নির্বাচনেও নৌকায় ভোট দিলে দেশ আরও উন্নত হবে। ’
এদিন বেলা সোয়া ১১টার দিকে রাষ্ট্রপতির বাড়ির পাশে ঘোড়াউত্রা নদীর চরে নবনির্মিত বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হামিদ সেনানিবাস উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। উদ্বোধনের পর তিনি সেখানে একটি আম গাছের চারা রোপণ করেন।
এরপর প্রধানমন্ত্রী সেনানিবাসের প্যারেড গ্রাউন্ডে যান। সেখানে সেনা সদস্যরা তাঁকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পাঁচটি ইউনিটের পতাকা উত্তোলন করা হয়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সেনা সদস্যদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন সরকার প্রধান।
এরপর জনসভায় যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মাত্র সাড়ে তিন বছরে যুদ্ধবিধ্বস্ত এ দেশকে গড়ে তোলার জন্য ব্যাপক পরিকল্পনা নিয়েছিলেন। শূন্য হাতে শুরু করে জাতির পিতা এত স্বল্প সময়ে দেশকে স্বপ্লোন্নত দেশে উন্নীত করেছিলেন। ‘
‘কিন্তু ঘাতকরা আমার মা বাবাসহ ভাইদের হত্যা করে। তাদের এ হত্যার বিচার পর্যন্ত চাওয়ার অধিকার আমার ছিল না। আমরা ক্ষমতায় এসে জাতির পিতার হত্যার বিচার করেছি। মানুষ এখন ন্যায়বিচার পাচ্ছে। আমরা দেশে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করেছি। ’ যোগ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখা সম্ভব হয়েছে বলেই গত ১৪ বছরে দেশে এত উন্নতি হয়েছে; যা বিগত ২৯ বছরেও হয়নি। কিন্তু বিএনপি দেশের জন্য কাজ করেনি। তারা ক্ষমতায় এলেই দেশে সন্ত্রাস, লুটপাট ও চুরিচামারি বেড়ে যায়। বিএনপির জন্মই হয়েছে অবৈধভাবে। তাদের পক্ষে দেশের কল্যাণে কাজ করা সম্ভব নয়।