পটুয়াখালীর গলাচিপায় বসন্তের আগমণে ঘ্রাণ ছড়াচ্ছে আমের মুকুল। শীতের শেষে বসন্তের শুরুতেই প্রকৃতি যেন সেজেছে তার অপরূপ সৌন্দর্যে।
চারদিকে ফুলে ফুলে যেমন ভরে যাচ্ছে ঠিক তেমনি আমের মুকুল ছড়াচ্ছে ঘ্রাণ। উপজেলার ইউনিয়নগুলোর বিভিন্ন জায়গায় বিপুল পরিমানে আমের মুকুলের সমারোহ ঘটছে।
মুকুলের ভাড়ে গাছের ডাল-পালা নুড়ে পড়ছে। ছোট-বড় গাছগুলোতে বেশী মুকুল আসতে শুরু করছে। আমের মুকুল যে পরিমানে আসছে অনেকে মনে করছে এবার আমের ফলন বেশী হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারী) সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে উপজেলার গোলখালী, আমখোলা, গলাচিপা সদর, চিকনিকান্দী, গজালিয়া, চরকাজল, চরবিশ্বাস ইউনিয়নের গ্রাম গুলোতে মুকুলে ছেয়ে গেছে। হলুদ বর্ণের মুকুল সূর্যের সোনালী আলোয় যেনো অপরুপ রঙ ছড়াচ্ছে।
মুকুলের সমারোহ দেখে বাড়ির লোকজনের মধ্যে বইছে আনন্দ। অনেকেই মুকুল রক্ষা করার জন্য কৃষি অফিসে গিয়ে কর্মকর্তাদের পরামর্শ নিচ্ছে। আবার কেউ কেউ গাছের যতেœ মনোযোগী হয়ে উঠছেন। আমের মুকুল আসছে তাই এখন মৌমাছির গুঞ্জন। মুকুলের মিষ্টি ঘ্রাণ যেন জাদুর মতো কাছে টানছে। গাছের প্রতিটি শাখা-প্রশাখা ভ্রমোরের ব্যঞ্জনা। বছর ঘুরে আবারও তাই ব্যাকুল হয়ে উঠছে আমপ্রেমীদের মন।
গোলখালী ইউনিয়নের চর হরিদেবপুর গ্রামের বাগান মালিক হাফেজ মোল্লা জানান, বর্তমানে আবওহায়া অনুকুলে রয়েছে। সপ্তাহ খানেক আগে থেকে বাগানের আম গাছে মুকুল আসা শুরু করেছে। মুকুল আসার পর থেকে গাছের প্রাথমিক পরিচর্যা শুরু করছি এবং কৃষি অফিস থেকে পরামর্শ নিয়ে বালাইনাশক স্প্রে করছি। আল্লাহ চাইলে এ বছর আমের ভালো ফলন পাব ইনশাআল্লাহ।
উপজেলা কৃষি অফিসার আরজু আক্তার জানান, মুকুলের যথাযথ পরিচর্যা না করলে মুকুল ঝরে পড়ে আমের ফলনে ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। আম গাছে ফুল আসার ১৫ দিন আগে পর্যাপ্ত সেচ দিতে হবে।
ফুল ফোটার সময় মেঘলা ও কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়া থাকলে বিভিন্ন রোগের আক্রমণ হতে পারে। এ ব্যাপের কৃষকদের সতর্ক করার পাশাপাশি বিভিন্ন পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। আশা করি এ বছর আমের ফলন ভালো হবে।