রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে বঙ্গভবনে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে পৌঁছান তিনি। এ সময় নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠকন্যা শেখ রেহানা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সোমবার নতুন রাষ্ট্রপতি হিসেবে মনোনয়ন পাওয়া মো. সাহাবুদ্দিনকে ফোন করে অভিনন্দন জানান বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
আগামী ২৩ এপ্রিল অবসরে যাবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এরপর দায়িত্ব নেবেন নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি।
এর আগে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে মো. সাহাবুদ্দিনকে নির্বাচিত ঘোষণা করেন। রাষ্ট্রপতি পদে মো. সাহাবুদ্দিনের নাম ঘোষণার পর প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
সাহাবুদ্দিন দীর্ঘদিন জুডিশিয়াল সার্ভিসে চাকরি করেছেন। তিনি এতোদিন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ছিলেন। তিনি ১৯৪৯ সালে পাবনায় জন্মগ্রহণ করেন।
তিনি ইতঃপূর্বে জেলা ও দায়রা জজ এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের একজন কমিশনার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ১৯৭১ সালে পাবনা জেলার স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ছিলেন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৮২ সালে বিসিএস (বিচার বিভাগে) ক্যাডারে যোগদান করেন এবং ১৯৯৫ সালে জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব হিসাবে নির্বাচিত হন।
মো. সাহাবুদ্দিন বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় আইন মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিযুক্ত সমন্বয়কারী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০০১ সালের সাধারণ নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে বিএনপি-জামায়াত জোটের নেতাকর্মী দ্বারা সংঘটিত হত্যা, ধর্ষণ ও লুণ্ঠন এবং মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডের অনুসন্ধানে গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনের চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
ছাত্রজীবনে পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং ১৯৭৪ সালে পাবনা জেলা যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ১৯৭৫ সালে সংঘটিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর কারাবরণ করেন। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সর্বশেষ জাতীয় কাউন্সিলে নির্বাচন কমিশনার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি ব্যক্তিগত জীবনে এক পুত্রসন্তানের পিতা এবং তার স্ত্রী প্রফেসর ড. রেবেকা সুলতানা সরকারের সাবেক যুগ্মসচিব ছিলেন।