মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী সোমবার দেশটির ক্ষমতা দখল করে নেয়ার পর কঠোর প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ঘটনায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং তার প্রশাসনের দিক থেকে কঠোর বার্তা দেয়া হয়েছে। দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ারও হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিনকেন বলেছেন, ৮ নভেম্বরর গণতান্ত্রিক নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচত সরকারি কর্মকর্তা এবং সুশীল সমাজের নেতাদের মুক্তি এবং বার্মার জনগণের ইচ্ছাকে সম্মান জানাতে বার্মিজ সামরিক নেতাদের প্রতি আহ্বান জানাই।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে মিয়ানমারের সবশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউজ।
হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র জেন সাকি বলেন, সাম্প্রতিক নির্বাচনের ফলাফল পরিবর্তন করতে বা মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক উত্তরণে বাধা দেয়ার যেকোনো প্রয়াসের বিরোধিতা করে যুক্তরাষ্ট্র এবং এই পদক্ষেপগুলো পরিবর্তন না করলে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
স্থানীয় সময় সোমবার দেশটির সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয়েছেন মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিল অং সান সু চি। গত ৮ নভেম্বরের নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে সু চির দল। নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে দেশটির সেনাবাহিনী।
ক্ষমতা ভাগাভাগি নিয়ে বনিবনা না হওয়ায় গত কয়েক দিন ধরেই দেশটিতে সামরিক অভ্যুত্থানের গুঞ্জন ছড়ায়। সোমবার এমন গুঞ্জনই প্রমাণ হলো। সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেফতারের পর এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে মিয়ানমারে। এমন বাস্তবতায় মিয়ানমার কোন পথে হাঁটছে, তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।