মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চিকে আটকের পর দেশটির সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। সেখানে চলমান পরিস্থিতির দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখা হচ্ছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, “মিয়ানমারের ঘটনাপ্রবাহ সম্পর্কে আমরা অবগত আছি। আমরা গভীর উদ্বিগ্ন। আমরা বিশ্বাস করি, আইনের শাসন এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অবশ্যই বহাল রাখতে হবে। আমরা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি।”
২০১১ সালে মিয়ানমারে গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থার উত্তরণের আগ পর্যন্ত দেশটিতে ক্ষমতায় ছিল সেনাবাহিনী। গত নভেম্বরে দেশটিতে সর্বশেষ সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তাতে প্রয়োজনীয়সংখ্যক আসনে জিতে পুনরায় সরকার গঠন করে সু চির এনএলডি। তবে সেনাবাহিনী নির্বাচনে ভোট জালিয়াতির অভিযোগ তোলে।
এর আগে, সোমবার সকালে এক বছরের জরুরি অবস্থা জারি করে ক্ষমতা গ্রহণ করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) প্রধান অং সান সু চি, দেশটির প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টসহ বেশ কয়েকজনকে আটকের পর পরই জরুরি অবস্থা জারি করা হয়।
ভারত ছাড়াও মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাতিসংঘও।