রাজধানীর মিরপুর মডেল থানার দক্ষিণ পীরেরবাগ এলাকায় ভোক্তা অধিকার কর্মকর্তা সেজে চাঁদাবাজি করার সময় ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে মিরপুর থানা-পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া সকলেই পেশাদার অপরাধী বলে জানিয়েছে পুলিশ। শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) গভীর রাতে পীরেরবাগ এলাকার আল বারাকা বেকারি নামের একটি প্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজি করার সময়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আজ শনিবার বিকেলে এই তথ্য সাংবাদিকদের জানান মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মো. শাহিন ওরফে বল্লা শাহিন (২৫), মো. ইউসুফ চৌধুরী (২৮), মো. আবদুল আলিম (২৩), মো. মামুন কাজী (৩২), মো. দেলোয়ার হোসেন (২৬), সুলতান মাহিদ পিয়াস (৩৩), সুলতান মাহিদ পিয়াস (৩৩), মো. তুষার (৩১) ও মো. রাহাদ (২৮)।
জানা গেছে, বল্লা শাহিন ২০১৯ সালে মিরপুরে আলোচিত সুমন হত্যা মামলার প্রধান আসামি। এই চক্রের সদস্যরা এর আগে পুলিশ কর্মকর্তা সেজে চাঁদাবাজি করার সময় মোহাম্মদপুর থানা-পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।
ওসি মহসীন বলেন, মিরপুরের পীরেরবাগ এলাকায় শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বল্লা শাহিন ও তাঁর সহযোগীরা আল বারাকা বেকারিতে প্রবেশ করেন। সেখানে শাহিন প্রথমে নিজেকে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। কিন্তু এত টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান প্রতিষ্ঠানটির কর্মচারীরা। এই সময়ে দলের অন্য সদস্যরা বেকারিতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা ও অভিযোগ আছে উল্লেখ করে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখান। এক পর্যায়ে বেকারির কর্মচারীরা সাড়ে ১৩ হাজার টাকা দিলেও তাঁরা (বল্লা শাহিন ও তাঁর সহযোগীরা) বিভিন্ন গালিগালাজ করেন। এ সময় দোকানের এক কর্মচারী কৌশলে বিষয়টি পুলিশকে ফোন করে জানালে বল্লা শাহিন ও তাঁর সহযোগীদের গ্রেপ্তার করা হয়।
মোহাম্মদ মহসীন জানান, এই চক্রটি দীর্ঘদিন ভোক্তা অধিকার, কখনো পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রতারণা করে আসছে। ২০২০ সালে মোহাম্মদপুরে তাঁরা পুলিশ সেজে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে গ্রেপ্তার হন। এ ঘটনায়ও তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। গ্রেপ্তার বল্লা শাহিন ও তাঁর সহযোগীরা পেশাদার অপরাধী। শাহিনের বিরুদ্ধে মাদক, চাঁদাবাজি, হত্যা প্রচেষ্টাসহ বিভিন্ন অভিযোগে ৪টি মামলা রয়েছে। সুলতান মাহিদ পিয়াসের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে ৩ টি। অন্যদের বিরুদ্ধে দুটি করে মামলা থাকার তথ্য পাওয়া গেছে।
চাঁদাবাজির ঘটনায় আজ শনিবার তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পরে আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। পাঁচজনের এক দিন করে রিমান্ড মঞ্জু করেন আদালত। বাকিদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।