শরীরে ধস্তাধস্তির কোনো চিহ্ন না থাকায় ধর্ষণের দায়ে শাস্তি পাওয়া এক আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন ভারতের মুম্বাই হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চের বিচারক পুষ্পা গানেদিওয়ালা। আর এই যুক্তিতে দুজনের সম্মতিতেই শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে বলে মত দিয়েছেন আদালত।
গানেদিওয়ালা তার পর্যবেক্ষণে বলেন, ‘মেডিকেল রিপোর্টেও ধস্তাধস্তির কোনো চিহ্ন মেলেনি। তা সত্ত্বেও অভিযুক্তের পক্ষে একই সময়ে তার নিজের জামাকাপড় খুলে, অন্য কারও জামাকাপড় খুলিয়ে তাকে ধর্ষণ করা আদৌ সম্ভব নয়। দুজনের সম্মতিতেই হয়েছে ওই শারীরিক সম্পর্ক।’
ঘটনাটি ২০১৩ সালের। আদালত জানান, ওই বছরের ২৬ জুলাই ভুক্তভোগীর মা তার মেয়েকে পুলিশের কাছে নিয়ে যান। থানায় দায়ের করা অভিযোগে ভুক্তভোগীর বয়স ১৫ বছর লেখা হয়েছিল। কিন্তু ঘটনার সময় নির্যাতিতা প্রাপ্তবয়স্ক ছিলেন না এমন প্রমাণ আদালতের কাছে নেই।
এর আগে বিশেষ শুনানি আদালত অভিযুক্তকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিলেও অভিযোগের নথিতে নির্যাতিতার বয়স নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছিলেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চে শাস্তি মওকুফের আর্জি জানিয়েছিল অভিযুক্ত।
মামলায় অভিযোগে বলা হয়, ২০১৩ সালের ২৬ জুলাই রাত সাড়ে নয়টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছিল। ওই সময় ভুক্তভোগীর মা প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাড়ির বাইরে গিয়েছিলেন। তার ভাই মেঝেতে ঘুমাচ্ছিলেন। সেই সময় প্রতিবেশী সুরজ মদ্যপ অবস্থায় বাড়িতে ঢুকে তার মুখ চেপে ধরেন। তিনি নিজের জামাকাপড় খুলে, নির্যাতিতার তার জামাকাপড়ও খুলে দেন। তারপর তাকে ধর্ষণ করে নিজের জামাকাপড় নিয়ে চলে যান। মা বাড়িতে ফিরে আসার পর ভুক্তভোগী তাকে এই ঘটনা জানান। তার পর মা তাকে পুলিশের কাছে নিয়ে যান।
বিচারপতি গানেদিওয়ালা বলেছেন, ‘অভিযোগকারীর এই বয়ান বিশ্বাসযোগ্য নয়। তিনি ঘটনার সময় প্রাপ্তবয়স্ক ছিলেন না, এমন কোনো প্রমাণ আদালতে দাখিল করা হয়নি। তাই এই ঘটনা দুজনের সম্মতিতেই ঘটেছিল, এমনটা না ভাবার কোনো কারণ নেই।’
‘মা না নিয়ে গেলে পুলিশে অভিযোগ করতাম না’, ভুক্তভোগীর এমন বক্তব্য নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি গানেদিওয়ালা।
এর আগে বিশেষ শুনানি আদালতে এই মামলায় অভিযুক্তকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। পরে ২৬ বছর বয়সী ওই অভিযুক্ত সুরজ কাসারকার তার কারাদণ্ডের আদেশ পুনর্বিবেচনার মুম্বাই হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চে আর্জি জানিয়েছিল।
মামলায় অভিযোগে বলা হয়, ২০১৩ সালের ২৬ জুলাই রাত সাড়ে নয়টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছিল। ওই সময় ভুক্তভোগীর মা প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাড়ির বাইরে গিয়েছিলেন। তার ভাই মেঝেতে ঘুমাচ্ছিলেন। সেই সময় প্রতিবেশী সুরজ মদ্যপ অবস্থায় বাড়িতে ঢুকে তার মুখ চেপে ধরেন। তিনি নিজের জামাকাপড় খুলে, নির্যাতিতার তার জামাকাপড়ও খুলে দেন। তারপর তাকে ধর্ষণ করে নিজের জামাকাপড় নিয়ে চলে যান। মা বাড়িতে ফিরে আসার পর ভুক্তভোগী তাকে এই ঘটনা জানান। তার পর মা তাকে পুলিশের কাছে নিয়ে যান।
বিচারপতি গানেদিওয়ালা বলেছেন, ‘অভিযোগকারীর এই বয়ান বিশ্বাসযোগ্য নয়। তিনি ঘটনার সময় প্রাপ্তবয়স্ক ছিলেন না, এমন কোনো প্রমাণ আদালতে দাখিল করা হয়নি। তাই এই ঘটনা দুজনের সম্মতিতেই ঘটেছিল, এমনটা না ভাবার কোনো কারণ নেই।’
‘মা না নিয়ে গেলে পুলিশে অভিযোগ করতাম না’, ভুক্তভোগীর এমন বক্তব্য নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি গানেদিওয়ালা।