গাজীপুর সিটি করপোরেশনের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি গ্রেপ্তারের জের ধরে পুলিশের এক এএসআইয়ের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে তার মাথা ফেটে যায়। এ সময় তার সঙ্গে থাকা কনস্টেবল আত্মরক্ষার্থে দৌঁড়ে অন্যত্র পালিয়ে যান।
মেট্রোপলিটন বাসন থানার এসআই আলামিন বাদী হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে ওই এলাকার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে ঊনিশে টাওয়ারের কাছে এ ঘটনা ঘটে। পরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- গাজীপুর সিটি করপোরেশনের দীঘিরচালা এলাকার মিজানুর রহমানের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৩০), একই এলাকার আমিনুল হকের ছেলে তুষার (৩০), আউটপাড়া এলাকার সাফিজ উদ্দিনের ছেলে ইসরাফিল (৩০), কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী এলাকার আব্দুল মোজামের ছেলে ফরিদ মিয়া (২৫), এলাকার মোক্তার উদ্দিনের ছেলে আলাউদ্দিন (২৮), মাদারীপুর শিবচরের জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে মিলন হোসেন (২৯)।
বাসন থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বাসন থানায় কর্মরত এএসআই আব্দুর রহিম সংবাদ পান ওয়ারেন্টভুক্ত এক আসামি ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে ঊনিশে টাওয়ারের কাছে সিয়াম বাসের টিকিট কাউন্টারের কাছে অবস্থান করছেন। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কনস্টেবল তৈবুর রহমানকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালান।
এ সময় ওই স্থানে উপস্থিত চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা পুলিশের এএসআই আব্দুর রহিমের ওপর হামলা চালায়। এতে তিনি মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হন। ঘটনার সময় সঙ্গে থাকা কনস্টেবল আত্মরক্ষার্থে দৌড়ে অন্যত্র পালিয়ে যান। একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গেলে পুলিশ অফিসারকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন বাসন থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) শেখ মিজানুর রহমান জানান, আব্দুর রহিমকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার মাথায় ১৮টি সেলাই দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় হামলাকারী মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্যে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হামলাকারীরা এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তাদের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে।