সিরাজগঞ্জে রকেট এজেন্ট ব্যবসায়ীকে গুলি করে টাকা ছিনতায়ের সঙ্গে জড়িত থাকা চারজন ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দ শাখা (ডিবি) পুলিশ।
গত কয়েকদিনে গোয়েন্দা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ডাকাতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গাজীপুর এবং সিরাজগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় অভিযান চালিয়ে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ১টি বিদেশি রিভলবার, ৬ রাউন্ড গুলি, ২টি গুলির খোসা ও ১টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারা হলো- জেলার উল্লাপাড়া উপজেলার গয়হাট্টা ভাগলগাছি গ্রামের মোজেদ আলী আকন্দ ওরফে মাজম আলী ছেলে সুজন মিয়া ওরফে সোহেল (২৮), একই উপজেলার রামকান্তপুর গ্রামের মো. ওসমান প্রাং এর ছেলে মো. আ. করিম (২৮), একই গ্রামের মৃত খালেক মন্ডলের ছেলে মো. আ. মালেক (২৭), মৃত ছাইদার প্রাং এর ছেলে মো. আশরাফুল প্রাং (৩৫)।
বুধবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন পুলিশ সুপার মো. আরিফুর রহমান মন্ডল সংবাদ সম্মেলন করে জানান, মোবাইল ব্যাংকিং (রকেট এজেন্ট) ব্যবসায়ী মো. তারিকুল ইসলাম মোবারক গত ১৬ ডিসেম্বর বিভিন্ন
ব্যবসায়ী রকাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করে সন্ধ্যার পর বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। পরে তারিকুল ইসলাম মোবারক শ্রীকোলা মোড় পার হয়ে চৌকিদহ ব্রীজের কাছে আসলে পূর্ব থেকেই পিছু নেওয়া অস্ত্রধারী ডাকাতদল পথরোধ করে তার ব্যাগে
থাকা ৫ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এতে মো. তারিকুল ইসলাম মোবারক বাধা দিলে ডাকাতদল প্রথমে ফাঁকা গুলি ছুড়ে ভীতিকর দেখায়। পরে তারিকুল ইসলামের বাম পায়ের উরুতে গুলি করে টাকাসহ ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যায়। এই
ঘটনায় মো. তারিকুল ইসলাম মোবারক বাদী হয়ে উল্লাপাড়া মডেল থানায় অজ্ঞাতনামা আসামি বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।
তিনি আরও বলেন, এই ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এ্যান্ড অপরাধ), মো. সামিউল আলম সহ গোয়েন্দা শাখার একটি চৌকস টিমের অভিযানে গাজীপুর এবং সিরাজগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ডাকাতরা লিডার সুজনের নেতৃত্বে সাতজনের একটি ডাকাতদল উল্লাপাড়া বাজারে অবস্থান নেয়। শ্রীকোলা মোড়ে সুজন এ্যাপাচি মোটরসাইকেল নিয়ে আরও দুজনসহ অবস্থান করছিল এবং উল্লাপাড়া বিজ্ঞানের মোড়ে করিম, আশরাফ ও অজ্ঞাত একজন অবস্থান করছিল। ভিকটিম বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হলে পরিকল্পনা অনুযায়ী ঘটনাস্থলে পৌঁছালে করিম ভিকটিমকে বলে আপনার মোটরসাইকেলে হাওয়া নাই। ভিকটিম মোটরসাইকেলের গতি কমালে সুজনের নেতৃত্বে ডাকাত দলের সদস্যরা তাকে ঘিরে ফেলে আগ্নেয়াস্ত্র দ্বারা প্রথমে ফাঁকা গুলি করে। পরে আশরাফুল তার হাতে থাকা চাকু দিয়ে ভিকটিমের ব্যাগটি কেঁটে নেয়। এ সময় তারিকুল ইসলাম বাঁধা দিলে তার বাম পায়ের উরুতে গুলি করে। যাবার সময় সুজন আরও ১ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে পালিয়ে যায়।
এছাড়াও উল্লাপাড়া ভেংড়ী দক্ষণিপাড়াস্থ গ্রামের মো. আবু বক্কার সিদ্দিকের ছেলে মো. আবু হাসেমকে (২৬), জিজ্ঞাসাবাদ করে তার বসতবাড়ির গরুর ঘরের ভেতর থেকে ১টি ওয়ান শুটারগান অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।