পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় একটি আবাসিক হোটেল থেকে অজান্তা বেগম নামের এক নারী পর্যটকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে ‘হোটেল ঝিলিক’ থেকে ওই নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
জানা যায়, স্বামী-স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে গত ১৬ ডিসেম্বর সকাল ৬টায় কুয়াকাটায় ঘুরতে এসে হোটেল ঝিলিকের ২০৪ নাম্বার রুম ভাড়া নেন সুজন (৩২) ও অজান্তা বেগম নামের দুজন পর্যটক। সুজন পটুয়াখালীর বাউফল সদরের রফেজ সিকদার ও আমেনা বেগমের ছেলে বলে হোটেলের রেজিস্ট্রিতে উল্লেখ রয়েছে।
রুম চেক আউটের জন্য তাদের ডাকাডাকি করলে কোনো সাড়াশব্দ না পাওয়ায় হোটেল কর্তৃপক্ষ পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ওই নারীকে হোটেলের সিলিংয় থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে।
হোটেল ঝিলিকের মালিক লিয়াকত আলী জানান, স্বামী-স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে তারা হোটেলে আসেন। আজকে সকাল ১০টায় হোটেল চেক আউটের সময় হলে তাদেরকে ফোন দেওয়া হয়। ফোনে না পেয়ে রুমে ডাকাডাকি করলেও কোনো সাড়াশব্দ পওয়া যায়নি। রুম ভেতর থেকে তালা লাগানো থাকায় আমরা সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে খবর দেই।
মহিপুর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) হাফিজুর রহমান জানান, হোটেল থেকে খবর পেয়ে আমরা এই নারী পর্যটকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করি। তবে স্বামী পরিচয় দেওয়া সুজনকে পাওয়া যায়নি। ওই রুম থেকে আলামত হিসেবে একটি স্মার্ট ফোন, একটি জামাকাপড়ের ব্যাগ জব্দ করা হয়েছে। হোটেল রেজিস্ট্রিতে দেওয়া নাম পরিচয় দিয়ে আমরা শনাক্তের চেষ্টা করছি। মরদেহটির ময়নাতদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।