জেলার ব্যান্ডিং পণ্য ঐতিহ্যবাহী হাজারি ও লাল গুড় হারিয়ে যাচ্ছে মানিকগঞ্জ থেকে। নির্বিচারে খেজুরগাছ নিধন, নতুন করে চাড়া রোপন না করা ও নদী ভাঙ্গণসহ নানাবিধ কারণে এই সংকট সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
মানিকগঞ্জ জেলায় ছিল হাজার হাজার খেজুরের গাছ। হরিরামরামপুর উপজেলায় ঝিটকা এলাকায় খেজুরের রস থেকে তৈরী হতো হাজারি গুড়।
এর সুনাম দেশ ছাড়িয়ে ছিলো দেশের সীমানা পেড়িয়ে বিদেশেও। সুস্বাধু হাজারি গুড় খেয়ে ব্রিটিশ রাণীও প্রশংসা করেছেন। এলাকার গুড়ের ব্যাপক চাহিদা থাকার কারণে অসাধু ব্যবসায়ীরা চিনি, চুন ও রং মিশিয়ে ভেজাল গুড় তৈরী করে বাজারে বিক্রি করছে।
প্রশাসনের অভিযানেও থামছে না অপতৎপরতা। তবে এখনো সদর উপজেলার বেংরুইতে কিছু বাড়িতে তৈরি হচ্ছে খেজুরের গুড়।
কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, ইট ভাটায় ব্যাপক হারে গাছ পোড়ানোর কারণে কমছে খেজুর গাছ।
মানিকগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবু মোহাম্মদ এনায়েত উল্লাহ বলেন, নতুন করে খেজুরের চারা রোপন করে জেলার ঐতিহ্য রক্ষায় উদ্যোগ নিতে হবে।
জেলার এই ব্যান্ডিং পণ্যের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে সরকারের প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতা চান সংশ্লিষ্টরা।