ক্ষমতার পালাবদল যেন প্রকৃতিরই নিয়ম। আজ যে বাদশা কাল সে ফকির। কিন্তু, আমেরিকার প্রেসিডেন্টরা ফকির হননা। শুধু ক্ষমতা ছেড়ে যান। হোয়াইট হাউজ পেয়েছে তার নতুন বাসিন্দা। কেমন কেটেছে প্রথম রাত হোয়াইট হাউজে বাইডেন পরিবারের।
গতকাল বুধবার রাতে হোয়াইট হাউসের প্রথম রাতের বাসিন্দা হিসেবে ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন টুইটবার্তায় হোয়াইট হাউসের একটি ভিডিওচিত্র প্রচার করেছেন। সঙ্গে দেওয়া বার্তায় তিনি বলেছেন, ‘আমাদের সবার চেয়ে বড় এমন কিছুর প্রতি আপনাদের বিশ্বাস স্থাপনের জন্য ধন্যবাদ। আমরা একত্রে একটি সুন্দর বিশ্ব নির্মাণ করব।’
এনবিসি নিউজের সাংবাদিক আল রকারের সঙ্গে বাইডেন মুহূর্তের জন্য শুভেচ্ছা বিনিময় করতে দেখা যায়। একপর্যায়ে বাইডেন চলে যান এনবিসি নিউজের সাংবাদিক মাইক মেমলির সামনে। মাইক জানতে চান, কেমন লাগছে? জবাবে তিনি বলেন, ‘মনে হচ্ছে আমি বাড়িতেই ঢুকছি।’
যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে গতকাল দুপুরে শপথ গ্রহণ করার পর বাইডেন দিনভর নানা আনুষ্ঠানিকতায় কাটান। পূর্বসূরি তিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, জর্জ ডব্লিউ বুশ ও বিল ক্লিনটন এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আর্লিংটন জাতীয় সমাধিস্থানে সস্ত্রীক যান বাইডেন।যুক্তরাষ্ট্রের ঐক্যের ক্ষেত্রে অন্যতম এই স্থাপনায় দাঁড়িয়ে সামরিক বাহিনীর দেওয়া স্যালুট গ্রহণ করা ছাড়াও ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস।
হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে ডাকা প্রথম কনফারেন্সে বাইডেন নিজ প্রশাসনের উদ্দেশে বলেছেন, ‘আমি আপনাদের সহযোগিতা চাই। আমি অনেক ভুল করব। যখন ভুল করব, তখন তা আমি স্বীকার করব। ভুল সংশোধনে সাহায্য করার জন্য আমি আপনাদের সহযোগিতা চাই।’
বাইডেন তাঁর নিয়োগ করা প্রশাসনের কর্মীদের ভার্চ্যুয়ালি শপথ গ্রহণ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের কাছ থেকে সততা ও শালীনতা চাই। আমাদের মনে রাখতে হবে, জনগণ আমাদের জন্য কাজ করে না।আমরা জনগণের জন্য কাজ করি। জনগণের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা রয়েছে।
ওয়াশিংটন ডিসির স্থানীয় সময় বিকেল চারটার কিছু আগে প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথমবারের মতো হোয়াইট হাউসে ঢোকেন জো বাইডেন। হোয়াইট হাউসের কাছেই ট্রেজারি বিভাগের অফিস ভবনের সামনে বাইডেন ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের মোটরশোভাযাত্রা–সহকারে নিয়ে আসা হয়।
বাইডেন স্ত্রী জিলের হাত ধরে পেনসিলভানিয়া অ্যাভিনিউ দিয়ে হোয়াইট হাউসে ঢোকার জন্য হাঁটতে থাকেন।কড়া নিরাপত্তাবেষ্টনীর মধ্যেও দূর থেকে লোকজনকে হাত নেড়ে বাইডেন দম্পতিকে অভিনন্দন জানাতে দেখা যায়। বাইডেন ও জিলের পেছনে তখন হাঁটছিলেন পরিবারের অন্য সদস্যরা। হেঁটে যাওয়ার সময় বাইডেন এক মুহূর্তের জন্য থামেন।