ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার এমকে ডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দা বালু ব্যবসায়ী মো. কাউসার খানের লাশ চর হরিরামপুর ইউনিয়নের বিশাই মাতুব্বরের ডাঙ্গীর পদ্মার পাড় নিকটবর্তী এলাকা থেকে ২৬ নভেম্বর দুপুরে উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে ২৫ নভেম্বর রাত থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন।
এদিকে লাশ উদ্ধারের ১২ ঘন্টার মধ্যে ২৬ নভেম্বর দিবাগত মধ্যরাতে উপজেলার বিএস ডাঙ্গী প্রামের ১৬ বছর বয়সী কিশোর (শাফাওত ইসলাম সিফাত) ও তার পিতা শাহীন মোল্লাকে আটক করে পুলিশ। রোববার বিকালে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে আটক কিশোর আসামীর স্বিকারোক্তির বরাত দিয়ে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহজাহান জানান, ছুরির দেখিয়ে ভীতি সৃষ্টি করে জোর পুর্বক সমকামীতা করার চেষ্টাকালে বলাৎকার চেষ্টাকারীর সেই ছুরিটিই কৌশলে ছিনিয়ে নিয়ে তা দিয়েই সিফাতই কুপিয়ে হত্যা করা হয় ওই ব্যবসায়ীকে।
তিনি জানান, ইতিপুর্বেও একাধিকবার ওই ব্যাক্তি কিশোরটিকে নিয়ে জোরপুর্বক সমকামিতায় লিপ্ত হয়। স্বাভাবিকভাবে সমকামিতা করতে না দেয়ায় এবার ছুরি দেখিয়ে ভীতি প্রদর্শন করে সমকামী সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করা হয়। এসময় ওই কিশোর ক্ষুব্দ হয়ে কৌশলে ছুরিটি ছিনিয়ে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। তিনি আরো জানান, হত্যার পর ওই কিশোর তার পরিবারকে বিষয়টি জানালে কিশোরের পিতা মো. শাহীন মোল্লা ঘটনা সংশ্লিষ্ট আলামত ধ্বংসের চেষ্টা চালায়।
তার পরামর্শে পরিধেয় বস্ত্র ও মোবাইল পুড়িয়ে ধ্বংসের চেষ্টা ও ওই ব্যবসায়ীর ব্যবহৃত মোটর সাইকেলটি সংশ্লিষ্ট উপজেলার বাইরে সদর উপজেলার মধ্যে ফেলে দেয়া হয়। পুত্রকে আলামত নষ্টের এমন পরামর্শ দেয়ায় পিতা শাহীন মোল্লাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দাবী পুলিশের। সাংবাদিক সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইমদাদ হোসাইন, সুমন রঞ্জন সরকার, চরভদ্রাসন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিন্টু মন্ডল প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।