পাকিস্তানের তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের চেয়ারম্যান ও দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তার সমর্থকদের রাওয়ালপিন্ডিতে ‘আজাদি মার্চে’ অংশ নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান। এর আগে শনিবার রাতে ইমরান লং মার্চ করে রাজধানী ইসলামাবাদে যাওয়ার পরিকল্পনা বাতিল করেন ও সকল অ্যাসেম্বলি থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। রোববার পাকিস্তানের গণমাধ্যম জিও টিভির এক প্রতিবেদন এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ওয়াজিরাবাদে গুলির আঘাতে আহত হওয়ার পর এবারই প্রথম জনসম্মুখে এলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান।
২৮ অক্টোবর পিটিআই কেন্দ্রীয় রাজধানীর উদ্দেশে লং মার্চ শুরু করে। এর উদ্দেশ্য ছিল ক্ষমতাসীন জোট সরকারকে আগাম নির্বাচন আয়োজনে বাধ্য করা। ইমরান আহত হলে ৩ নভেম্বর লং মার্চ স্থগিত করা হয়।
পরবর্তীতে পিটিআইর অপর নেতা শাহ মাহমুদ কোরেশীর নেতৃত্বে লং মার্চ আবারও শুরু হয়। ইমরান ঘোষণা দিয়েছিলেন, তিনি রাওয়ালপিন্ডি থেকে আবারও লং মার্চে যোগ দেবেন।
এক টুইটার বার্তায় পিটিআই প্রধান বলেন, গতকাল পাকিস্তানের বিভিন্ন অংশ থেকে অসংখ্য মানুষ রাওয়ালপিন্ডির আজাদি মার্চে অংশ নিতে এসেছেন। আমি তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। দেশে আইনের শাসন ও প্রকৃত স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত আমাদের তেহরিক (উদ্যোগ) চলতে থাকবে।
গতকাল শনিবার ইমরান খান ঘোষণা দেন, তার দল বর্তমান ‘ব্যবস্থার’ অংশ না হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং দলের সদস্যরা সকল অ্যাসেম্বলি থেকে পদত্যাগ করবেন। দলের লং মার্চ চলাকালীন সময়ে রেহমানাবাদে উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে তিনি এই মন্তব্য করেন। তিনি আরও জানান, পদত্যাগের সুনির্দিষ্ট দিনটি তিনি শিগগির জানাবেন। ইমরান খানের অ্যাসেম্বলি থেকে পদত্যাগ ও লং মার্চ স্থগিত রাখার সিদ্ধান্তে সরকারি দলের নেতারা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ বলেন, ইমরান খানের এই সিদ্ধান্ত ‘পরাজয় মেনে নেওয়ার ঘোষণা দেওয়ার’ সমতুল্য। যদি তিনি (ইমরান খান) ইসলামাবাদের উদ্দেশে লং মার্চ অব্যাহত রাখতেন, তাহলে খুব বেশি হলে ৫ বা ১০ লাখ মানুষ এতে যোগ দিতেন। বিব্রতকর পরিস্থিতি এড়াতে তিনি অ্যাসেম্বলি থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো-জারদারি পিটিআইর মার্চকে ‘মুখ বাঁচানোর ব্যর্থ প্রচেষ্টা’ বলে অভিহিত করেন।