পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার আমখোলা ইউনিয়নের আলগী তাফাল বাড়িয়া গ্রামে অবৈধ ভাবে অন্যের রেকর্ডি সম্পত্তি দখল করে ভবন নির্মাণ কাজে বাধা দেওয়ায় একাধিক মিথ্যা মামলা দিয়ে এক সাংবাদিক পরিবারের সদস্যদের হয়রানী করার অভিযোগ উঠেছে। খোঁজ নিয়ে জানাযায়, ঢাকার শ্যামপুর থানা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও ফেডারেশন অফ জার্নালিস্ট অর্গানাইজেশন (এফজিও) সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মনির হোসেনের দাদা মৃত্যু আবুল কাশেম গাজী গত অনুমান ২৫ বছর পূর্বে একই এলাকার মৃত্যুঃহাফেজ স্বর্নমত এর ছেলে সুলতান স্বর্ণমত এর বসতবাড়ি নির্মাণের জায়গা না থাকায় নামমাত্র মুল্যে ৯৬,০৮,৪০ খতিয়ানের ২৪ দাগের স্থানীয় মাপেরও (১০করা) জমি রেজিস্ট্রি দলিল মূলে উল্লেখিত দাগ খতিয়ান থেকে জমি বুঝিয়ে দেন, সুলতানা স্বর্ণমত দলিল মূলে জমি ভোগদখল করতে থাকেন।
সুলতান স্বর্ণমত বিভিন্ন দাগ খতিয়ানে (১০শতাংশ ) জমির মালিক হলেও গত দুই বছর যাবত হঠাৎ করে গায়ের জোরে দুইটি মাত্র দাগে ১৫৪,১৫৫, একশত খতিয়ান থেকে স্থানীয় মাপের (৪০ শতাংশ ) জমি অবৈধ ভাবে দখল করে পাকা ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করেন, অবৈধ ভাবে সুলতান স্বর্ণমতের নির্মাণাধীন ভবনের কার্যক্রমে সাংবাদিক মনির হোসেনের বাবা মোঃ ইব্রাহীম গাজী ও চাচা মোঃ সিদ্দিক গাজী বাধা দিলে অবৈধ দখলদার সুলতান স্বর্ণমত ক্ষিপ্ত হয়ে সাংবাদিক মনির হোসেনের বাবা, চাচা ও চাচাতো ভাই সহ তার পরিবারের সদস্যদের একাধিক মিথ্যা মামলা হামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছেন, মিথ্যা মামলার কারণে ভুক্তভোগী সাংবাদিক পরিবারটি অসহায়ত্বের জীবনযাপন করছেন।
এবিষয়ে ভুক্তভোগী মোঃ সিদ্দিক গাজী বলেন, পাকা বাড়ি নির্মাণে বাধা দেওয়ায় পর থেকেই শুরু হয় ভূমি দস্যু সুলতান স্বর্ণমতের মামলাবাজি, এ পর্যন্ত সুলতান আমাদেরকে তিনটি মিথ্যা মামলা দিয়েছে, সর্বপ্রথম গত (৩০ জানুয়ারী) ২০২২ তারিখে সুলতান স্বর্ণমত এর স্ত্রী মোসাঃ আলো রানী (৪৭) বাদী হয়ে মৃত্যু আবুল কাসেম গাজীর দুই ছেলে মোঃ ইব্রাহীম গাজী (৫০) ও মোঃ সিদ্দিক গাজী (৫৫), মৃত্যু হাসেম গাজীর ছেলে মোঃ হালেম গাজী (৪৬) ও মোঃ সোহরাব খাঁ’র ছেলে মোঃ কাওসার (২৩) সহ আরও অজ্ঞাত নামা ৭/৮ জনকে আসামী করে পটুয়াখালী আইন শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী (দ্রুত বিচার) ট্রাইবুনাল মামলা করেন, যাহার মামলা নং ১৭/২২। একই দিনে (৩০ জানুয়ারী) ২০২২ তারিখে সুলতান স্বর্ণমত এর স্ত্রী মোসাঃ আলো রানী বাদী হয়ে সোহরাব খাঁ’র ছেলে মোঃ কাওসার (২৩), হাসেম গাজীর ছেলে মোঃ হালেম গাজী (৪৫), আবুল কাশেম গাজীর দুই ছেলে মোঃ সিদ্দিক গাজী (৫৫) ও মোঃ ইব্রাহীম গাজী (৫০), গফুর খাঁ’র ছেলে হাফেজ সোহরব খাঁ (৫৫), হাসেম চৌকিদারের ছেলে মোঃ নূরুল ইসলাম চৌকিদার (২৫), সেলিম গাজীর ছেলে তৌহিদ গাজী (২৪) ও হাসেম গাজীর ছেলে মোঃ হাবিব গাজী (৫৮) কে আসামী করে পটুয়াখালী বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন, যাহার মামলা নং ৮৬/২০২২। গত (২৪ এপ্রিল) ২০২২ তারিখে সুলতান স্বর্ণমত এর মেয়ে মোসাঃ কুলসুম বেগম (২৮) বাদী হয়ে মোঃ ইব্রাহীম গাজী (৪৫), হাফেজ সোহরাব খান (৫০) ও মোঃ সিদ্দিক গাজী (৫৫) সহ আরও ৩/৪ জনকে অজ্ঞাত নামা আসামী করে গলাচিপা থানায় একটি মামলা করে, যাহার মামলা নং ১৫।
একাধিক মিথ্যা মামলার বিষয়ে জানার জন্য অভিযুক্ত সুলতান স্বর্ণমতকে ফোন করলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ফোন কেটে দেন। ভুক্তভোগী সাংবাদিক মনির হোসেনের বাবা ইব্রাহীম গাজী বলেন, এই বিষয়ে এলাকার মেম্বার, চেয়ারম্যান ও গলাচিপা থানায় একাধিক বার সালিশ বৈঠক বসে, সালিশিগণের সিদ্ধান্ত মানতে অনিয়া প্রকাশ করেন সুলতান স্বর্ণমত এই কারনে কোন সমাধান হয় নাই। এবিষয়ে সাংবাদিক মনির হোসেন বলেন, আমি ঢাকায় বসবাস করি, আমাদের পৈতৃক সম্পত্তি সুলতান স্বর্ণমত অবৈধ ভাবে দখল করে পাকা ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করেন, আমার বাবা এবং চাচা তাদের পৈতৃক সম্পত্তি রক্ষার্থে ভবন নির্মাণ কাজে বাধা দেওয়ার পর থেকেই সুলতান স্বর্ণমত ক্ষিপ্ত হয়ে একাধিক মিথ্যা মামলা দিয়ে আমার পরিবারের সদস্যদের হয়রানি করে আসছে, আমি মিথ্যা মামলার বিষয়ে প্রশাসন, এলাকার জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত পূর্বক ন্যায় বিচারের দাবি জানাই।
এবিষয়ে গলাচিপা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শোনিত কুমার গায়েন বলেন,এই থানায় আমি নতুনযোগদান করেছি এ বিষয়ে আমার জানা ছিল না কোন ব্যক্তি যদি হয়রানি মূলক কোন মিথ্যা মামলা করে, তা যদি প্রমাণিত হয় তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।