ধর্মীয়ভাবে বরাবরই কঠোর অবস্থানে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতার। তবে আশা করা হচ্ছিল বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ হওয়ায় ধর্মীয় আইনে কিছুটা শিথিল হবে কাতার। তবে শেষ পর্যন্ত সেটি হয়নি। সমকামীদের জন্য কঠোর শাস্তির বিধান রেখেছে দেশটি।
তবে কাতারের বিরুদ্ধে ইরান ম্যাচে বিশেষ আর্মব্যান্ড পরে নামার কথা রয়েছে ইংলিশ অধিনায়ক হ্যারি কেনের। যা সমকামিতাকে সমর্থন করে। শেষ পর্যন্ত এমন আচরণ করলে শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারে ইংলিশ অধিনায়ককে।
বিশ্বকাপের দ্বিতীয় দিনে আজ সোমবার ইরানের বিপক্ষে মাঠে নামবে ইংল্যান্ড। এদিন সমকামিতা সমর্থন করে এমন আর্মব্যান্ড পরতে পারেন কেন। শেষ পর্যন্ত এমনটা করলে তাকে হলুদ কার্ড দেখানো থেকে শুরু করে নিষেধাজ্ঞাও দিতে পারে ফিফা!
বিশ্বকাপের আগে থেকে বেশ কয়েকটি সমকামী অধিকার রক্ষা সংস্থা এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছে। সেই প্রতিবাদে যোগ দিয়েছে বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ। তালিকায় আছে ইংল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, ফ্রান্স, ডেনমার্ক, বেলজিয়াম, জার্মানি, সুইডেন, নরওয়ে, সুইজারল্যান্ড ও ওয়েলস। এই প্রতিবাদের অংশ হিসেবে তারা একটি বিশেষ আর্মব্যান্ড তৈরি করেছে। যার নাম ‘ওয়ান লাভ’।
প্রতিবাদকারী দেশগুলোর অধিনায়কেরা ঘোষণা দিয়েছেন, বিশ্বকাপের ম্যাচে তারা এই আর্মব্যান্ড পরে নামবেন। সরাসরি সমকামিতা-বিরোধী আইনের বিরোধিতা করার জন্য নয়, সমকামী প্রেমকে সমর্থন করার জন্যই তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু ফিফা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, যে দেশে বিশ্বকাপ হচ্ছে সেই দেশের আইন, সংস্কৃতি মেনে চলতে হবে। সেই কারণেই কাতার বিশ্বকাপ চলাকালীন বিয়ারে নিষেধাজ্ঞা জারি হলেও কোনো পদক্ষেপ নেয়নি ফিফা।
ইতিমধ্যে ফিফা ঘোষণা দিয়েছে, নিয়ম অনুযায়ী কোনো অধিনায়ক ওই বিশেষ আর্মব্যান্ড পরতে পারবেন না। তার বদলে, ঐক্য ও সমানাধিকারের বার্তা দিতে বিশেষ আর্মব্যান্ড নিয়ে এসেছে ফিফা। প্রতি রাউন্ডে সেই আর্মব্যান্ডের ‘স্লোগান’ বদলে যাবে। কিন্তু তার বাইরে কিছু পরা যাবে না। অন্যদিকে আজ সেনেগালের বিপক্ষে ম্যাচে এই আর্মব্যান্ড পরে নামার ঘোষণা দিয়েছেন নেদারল্যান্ডসের অধিনায়ক ভার্জিল ফন ডাইকও।