দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজনে কাতার এনেছে ভিন্নতা। দর্শকদের সুবিধার্তে মরুর বুকে এবং ঐতিহাসিক নৌকায় বিশেষ আবাসনের ব্যবস্থা করেছে দেশটি। যেখানে কম খরচে থাকতে পারবেন দর্শকরা। বাইরে থেকে দেখতে সারিবদ্ধ জাহাজের কনটেইনারের মতো এটি।
তবে ভেতরে রয়েছে পাঁচ তারকা হোটেলের সুযোগ-সুবিধা।
বিমানবন্দরের কাছে তৈরি ৬ হাজার কেবিন বিশিষ্ট এই ভিলেজে থাকতে পারবে ১২ হাজার ফুটবল প্রেমী। থাকবেন একেবারে প্রাকৃতিক পরিবেশে। কম খরচে দুটি সিঙ্গেল বেড, অ্যাটাস্ট বাথরুম, এয়ার কন্ডিশন, ফ্রিজসহ আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা আছে ভিলেজগুলোতে।
যারা পছন্দের দলের টিকিট পায়নি তাদের সবার জন্য জায়ান্ট স্ক্রিনের ব্যবস্থা আছে সেখানে। এখানে এসে ভালোভাবেই টুর্নামেন্ট উপভোগ করতে পারবেন দর্শকরা এবং একটি হোটেলে যা যা থাকে তার সবকিছুই আছে এখানে।
শহর থেকে দূরে হওয়ায় ভিলেজ থেকে বিশেষ বাস সার্ভিস চালু করা হয়েছে স্টেডিয়াম ও মেট্রো স্টেশন পর্যন্ত। সর্বোচ্চ ৪০ মিনিটের মধ্যে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন অতিথিরা।
বাইরে থেকে দেখলে মনে হবে কাঠের তৈরি সাধারণ একটি বড় নৌকা। তবে এর ভেতরে আছে বিলাসবহুল রুমের ব্যবস্থা। এর সবই ফুটবল বিশ্বকাপ উপলক্ষে।
কয়েক ডলারের বিনিময়ে ঐতিহ্যবাহী কাঠের নৌকাগুলোর মাধ্যমে আগত ভক্তরা শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ভ্রমণ করতে পারবেন।
বাসস্থানের প্রধান ওমার আল জাবের বলেন, এটা শুধু একটা নৌকা নয়, এটা আমাদের ঐতিহ্য। এগুলো অনেক বড়। কোনো নৌকায় দুটি, কোনোটিতে আবার তিনটি আর সর্বোচ্চ চারটি করে বেডরুমের ব্যবস্থা আছে। আমি বিশ্বাস করি, ভক্তরা যদি এই নৌকায় থাকে, তারা বুঝতে পারবে যে কাতারিদের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ এবং এ দেশের সংস্কৃতির সম্পর্কেও জানতে পারবে। ’
তিনি বলেন, ‘এগুলো মূলত মাছ ধরা, ডাইভিং এবং ব্যবসার কাজের জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে। তবে বিশ্বকাপের জন্য ৩০টি নৌকা বিশেষভাবে পরিবহন হিসেবে ও বিলাসবহুল বাসস্থানের জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে। অন্যান্য সময়ের তুলনায় বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে বেশি অর্থ উপার্জনের আশা করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী মাইকেল দাস।
দর্শকরা যাতে নির্বিঘ্নে বিশ্বকাপ উপভোগ করতে পারে সে ব্যাপারে সর্বদা কাজ করে যাচ্ছে কাতার।