সরকার প্রতি উপজেলা থেকে বছরে গড়ে ১ হাজার কর্মীকে বিদেশে পাঠানোর পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বৈশ্বিক চাহিদার ভিত্তিতে কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রদান, অভিবাসন ব্যয় হ্রাস এবং মধ্যস্বত্বভোগীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে সেন্ট্রাল ডাটাবেজ তৈরি, কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সার্বিক অটোমেশন এবং বিভিন্ন ধরনের ডিজিটালাইজড সেবা প্রদানের কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার দেয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য-‘মুজিববর্ষের আহ্বান, দক্ষ হয়ে বিদেশ যান’।
বাণীতে শেখ হাসিনা বলেন, দেশের উন্নয়নে প্রবাসী কর্মী ও অনিবাসী বাংলাদেশিদের সক্রিয় অংশগ্রহণের সুযোগ তৈরির জন্যও বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে করোনাভাইরাসের কারণে দেশে প্রত্যাগত অভিবাসী কর্মী ও তাদের পরিবারকে সহজ শর্তে বিনিয়োগ ঋণ প্রদান এবং তাদের জন্য রিইন্টিগ্রেশন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে এ লক্ষ্যে সাতশ কোটি টাকার তহবিল গঠন করে তা থেকে ঋণ প্রদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
সরকার প্রধান আরো বলেন, বৈদেশিক কর্মসংস্থান বিষয়ে সামগ্রিক সচেতনতা সৃষ্টি এবং সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে আরও সুষ্ঠু ও নিরাপদ শ্রম অভিবাসন নিশ্চিত করতে আমরা সক্ষম হবো। বাণীতে অভিবাসী দিবস উপলক্ষে বিশ্বের সব অভিবাসীসহ দেশে-বিদেশে অভিবাসীদের কল্যাণে ব্যাপৃত সব ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনকে শুভেচ্ছা জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার বৈদেশিক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, অভিবাসী কর্মীদের কল্যাণ ও স্বার্থসংরক্ষণ, তাদের অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রার সর্বোত্তম ব্যবহার এবং তাদের পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ অভিবাসন ব্যবস্থাপনাকে নিরাপদ, স্বচ্ছ, ন্যায়সঙ্গত ও গতিশীল করতে বহুমুখী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। ইতোমধ্যে বৈধ চ্যানেলে প্রেরিত রেমিট্যান্সের ওপর ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা প্রদান করা হচ্ছে।
]এই প্রণোদনার সুফল হিসেবে অভিবাসী কর্মীদের শ্রম ও মেধার বিনিময়ে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণ পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় ১০ দশমিক ৯০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১৮ দশমিক ২১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে বলেও আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।