প্রায় সাড়ে সাত বছর পর ঝিনাইদহে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন। রোববার (১৩ নভেম্বর) শহরের পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাঠে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনকে ঘিরে শহরে চলছে সাজ সাজ রব।
শনিবার (১২ নভেম্বর) শহরের বিভিন্ন এলাকায় পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন, বিলবোর্ড, তোরণে ঝিনাইদহ শহর পেয়েছে এক নতুন রূপ।
পদ প্রত্যাশী নেতাদের কর্মী সমর্থকরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবিসহ তাদের পছন্দের নেতাদের ছবি দিয়ে পোস্টার, ব্যানার, বিলবোর্ড বানিয়েছেন।
শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে মোড়ে, বিশেষ করে সমাবেশ স্থানের পাশ থেকে মুজিব চত্বর হয়ে পায়রা চত্বর, সার্কিট হাউজ রোড যেখানে নেতাদের চোখ পড়তে পারে এমন সবখানেই লাগানো হয়েছে বিল বোর্ড, ব্যানার, পোস্টার।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক ও যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি। সম্মেলন উদ্বোধন ঘোষণা করবেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ।
এবার সভাপতি পদে অন্তত ৭ জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে প্রত্যাশী রয়েছে ১০ জন। সম্মেলনকে কেন্দ্র করে দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালে ২৫ মার্চ মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই এমপিকে সভাপতি, সাইদুল করিম মিন্টুকে সাধারণ সম্পাদক করে তিন বছরের জন্য ৭১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।
এরপর দীর্ঘদিন অতিক্রান্ত হলেও কোনো সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়নি। এ সম্মেলনকে ঘিরে সভাপতি পদে একাধিক ব্যক্তির নাম শোনা যাচ্ছে। তারা হলেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম অপু, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান ও সহ-সভাপতি তৈয়ব আলী জোয়ার্দারসহ অনেকে।
সাধারণ সম্পাদক পদে জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু, যুগ্ম সম্পাদক কনক কান্তি দাস,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল ইসলাম ফোটন ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি জীবন কুমার বিশ্বাস।
এদিকে, শহর জুড়ে জোর গুঞ্জন চলছে ঝিনাইদহ-২ আসনের সংসদ সদস্য তাহজীব আলম সিদ্দিকী সমি সাধারণ সম্পাদক হতে পারেন। অপরদিকে দলের একটি নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানায়, দলের গুরুত্বপূর্ণ পদ দুটি নির্ধারণ করে থাকেন খোদ দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি যাচাই বাছাই করে দলের নেতাকর্মীদের যাদের পারফর্মেন্স ভাল তাদেরকে দুই শীর্ষ দুই পদে নিয়োগ দেবেন। দলের কেন্দ্রীয় নেতারা এসে সম্মেলন শুধু আনুষ্ঠানিকভাবে নাম ঘোষণা করবেন।