আর মাত্র দুই সপ্তাহ বাদেই শুরু হবে বহুল প্রতীক্ষিত ফুটবল বিশ্বকাপ। এবারের এই মহাযজ্ঞ অনুষ্ঠিত হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারে। তবে দেশটিতে স্টেডিয়াম নির্মাণ ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে অভিবাসী শ্রমিকদের অধিকার ক্ষুণ্ণ হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এবার অভিবাসী শ্রমিকদের অধিকারে ফিফাকে চাপ দিচ্ছে ইউরোপের ১০ দল; যে তালিকায় রয়েছে ইংল্যান্ড ও জার্মানির মতো দেশ।
খবর রয়টার্সের।
প্রতিবেদনে লন্ডন ভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থাটি জানায়, ইউরোপের ১০টি দেশের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন কাতারের অভিবাসী শ্রমিকদের অধিকারের উন্নয়নে জন্য ফিফাকে চাপ দিচ্ছে। এর মধ্যে আটটি দল রয়েছে যারা কি না বিশ্বকাপ খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে। ফুটবল বিশ্বকাপ শুরুর মাত্র দুই সপ্তাহ আগে এমনটা হচ্ছে।
রোববার এক খোলা চিঠিতে ইউরোপের ১০ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন জানায়, অভিবাসী শ্রমিকদের অধিকারের বিষয়গুলো নিয়ে উত্তর দেওয়ার জন্য ফিফা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এর মধ্যে রয়েছে, অভিবাসী শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণে তহবিল গঠন ও দোহাতে একটি অভিবাসী শ্রমিক কেন্দ্র তৈরি করা। এগুলো নিশ্চিত করার জন্য আমরা ফিফার প্রতি চাপ অব্যাহত রাখবো।
মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য কাতারে অভিবাসী শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ দিতে বিশ্বকাপের প্রাইজ মানির সঙ্গে মিল রেখে ৪৪ কোটি ডলার বরাদ্দ করতে ফিফার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ অন্যান্য মানবাধিকার সংস্থা।
গত সপ্তাহে কাতারের মানবাধিকার ও সমকামী বিষয়ে কথা বলেছে অস্ট্রেলিয়ার ফুটবল দল। এমনকি গত মাসে কাতারের মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবাদ হিসেবে পরিবার ছাড়াই বিশ্বকাপে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ডেনমার্ক।
রয়টার্স বলছে, অভিবাসী শ্রমিকদের প্রতি আচরণ ও বিধিনিষেধমূলক সামাজিক আইন নিয়ে তীব্র চাপের মধ্যে পড়েছে কাতার। বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া অনেক দেশই এ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে। তবে শ্রমিকদের শোষণের বিষয়ে সব দাবিকে নাকচ করেছে কাতার।
রোববারের ওই খোলা চিঠিতে অভিবাসী কর্মীদের অধিকার ও সমকামী সমর্থকদের নিরাপত্তার আশ্বাস দেওয়ার ক্ষেত্রে কাতার উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে বলে জানানো হয়। চিঠিতে বলা হয়, প্রতিটি দেশের নিজস্ব সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তবে বৈচিত্র্য এবং সহনশীলতাকে আলিঙ্গন করার অর্থ মানবাধিকারকে সমর্থন করা। মানবাধিকার সর্বজনীন এবং সেগুলো সর্বত্র প্রযোজ্য।