খুলনার গোবরচাকা এলাকায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে এক তরুণীকে হত্যা করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘরের তালা ভেঙ্গে পলিথিনে মোড়ানো বিচ্ছিন্ন মস্তক ও কাগজের কার্টুনের মধ্যে থেকে খণ্ডিত দেহ উদ্ধার করে।
রবিবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে গোবরচাকা মো. রাজুর বাড়ির ভাড়াটিয়া আবু বকর মোল্লার (২৭) ঘর থেকে মরদেহ উদ্ধার হয়। আবু বকর মোল্লা পলাতক রয়েছেন।
তিনি চার বছর ধরে এখানে ভাড়া থাকেন ও একটি ট্রান্সপোর্ট এজেন্সির ম্যানেজার হিসেবে কাজ করতেন। তিনি বাগেরহাট রামপালের ভাগা এলাকার জাকির মোল্লার ছেলে।
বাড়ির মালিক মো. রাজু জানান, রবিবার সকালে ট্রান্সপোর্টের লোকজন আবু বকর মোল্লাকে খুঁজতে বাড়িতে আসে। ঘর তালাবদ্ধ থাকায় তিনি ও ট্রান্সপোর্টের লোকজন দরজার ফাঁক দিয়ে ঘরের মধ্যে দেখার চেষ্টা করেন। এসময় ঘরের মধ্যে এলোমেলো অবস্থা দেখে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে তালা ভেঙ্গে খাটের ওপরে পলিথিনে মোড়ানো বিচ্ছিন্ন মস্তক ও খাটের পাশে কাগজের কার্টুনে রাখা খণ্ডিত দেহ উদ্ধার করে। জানা যায়, ওই ঘরে আবু বকর মোল্লা ও তার স্ত্রী ক্লিনিকের নার্সিং পেশায় জড়িত স্বপ্না খাতুন ভাড়া থাকতেন। কিন্তু উদ্ধারকৃত লাশটি স্বপ্নার নয় বলে বাড়ির অন্য ভাড়াটিয়ারা দাবি করছেন।
সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নাহিদ হাসান মৃধা জানান, বিচ্ছিন্ন মস্তক ও মরদেহ উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। হত্যার কারণ সম্পর্কে অনুসন্ধান চলছে।
এদিকে ট্রান্সপোর্ট কোম্পানির মালিক মিনা বেগম জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আবু বকর মোল্লার সাথে তার ফোনে কথা হয়েছে। আবু বকরের কাছে কোম্পানির প্রায় এক লাখ টাকা ছিল। কিন্তু কাজে না আসায় তিনি কয়েকবার ফোন দেয়ার পর বকর মোবাইল রিসিভ করে বলে- ‘আমি তিনটি জীবন নষ্ট করে দিয়েছি। আমি আর ফিরবো না। ’ এরপর সে মোবাইল কেটে দেয়।