সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় চাঁদার দাবীতে ইউপি চেয়ারম্যানের মেয়ের নির্মাণাধীন ভাংচুরের মামলায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতাসহ ৫ জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা আমলী আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট কেএম শাহরিয়ার শহীদ বাপ্পী এ আদেশ দেন।
আসামিরা হলেন সলঙ্গা থানা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক রিয়াদুল ইসলাম ফরিদ (৪০), থানা আওয়ামী লীগের তথ্য ও বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক শরীফ, থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মোমিন (৩০), সলঙ্গা থানা লোড-আনলোড সমিতির সভাপতি তোজাম্মেল হক ওরফে তোজাম সর্দার (৬২), আশরাফুল ইসলাম ছানোয়ার (৪৮) এবং নুরুল ইসলামের ছেলে সুজন (৩৫)।
সিরাজগঞ্জ কোর্ট পরিদর্শক মো. মোস্তফা কামাল জানান, মামলার আসামিরা আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন।
কিন্তু আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, সলঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমানের মেয়ে জাকিয়া সুলতানা সলঙ্গা বাজারে ভবন নির্মাণ করছিলেন। তখন থানা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক রিয়াদুল ইসলাম ফরিদ ও থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান লাভু ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে ১৪ মে আসামিরা নির্মাণাধীন ভবনটি ভেকু মেশিন দিয়ে গুড়িয়ে দেন। এতে প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়।
এ ঘটনায় জাকিয়া সুলতানা বাদী হয়ে সলঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ৪ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ১০-১৫ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলার তদন্তভার দেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই)। তদন্ত শেষে পিবিআইয়ের উপপরিদর্শক আব্দুল খালেক ৫ জনকে অভিযুক্ত করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন।