পটুয়াখালীর গলাচিপায় ডাকুয়া ইউনিয়নের তিনটি গ্রাম গলাচিপা নদীভাঙন থেকে রক্ষার জন্য মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত
ঘণ্টাব্যাপি আটখালী গ্রামে ভাঙন কবলিত গলাচিপা নদীর তীরে দুই কিলোমিটার দীর্ঘ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। উপজেলার ডাবুয়া ইউনিয়নের আটখালী, হোগলবুনিয়া ও
ডাকুয়া গ্রামের প্রায় অর্ধেক এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এ তিনটি গ্রামের প্রায় একশত পরিবার বাড়ি-ঘর, ফসলী জমি হারিয়ে উদ্বাস্তু হয়েছে। গলাচিপা নদীর তীব্র ভাঙনে
হুমকির মুখে রয়েছে প্রয়াত সাংবাদিক আলতাফ মাহমুদের কবরস্থান, ডাকুয়া ইউনিয়ন পরিষদ, তেঁতুলতলা বাজার, আটখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আটখালী প্রাথমিক বিদ্যালয়,
কমিউনিটি ক্লিনিক, তিনটি মসজিদ, একটি মাদ্রাসা, একটি মন্দির ও জমিদার বাড়িসহ কয়েকশত পরিবার। মানববন্ধনে গলাচিপা প্রেসক্লাব সভাপতি ও আটখালী মাধ্যমিক
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সমিত কুমার দত্ত মলয় বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে গলাচিপা নদীর ভাঙনে আটখালী, হোগলবুনিয়া ও ডাকুয়া গ্রামের দুইটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ প্রায় অর্ধেক এলাকা
নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। প্রায় একশত পরিবার বাড়ি-ঘর, ফসলী জমি হারিয়ে উদ্বাস্তু হয়েছে। যদি নদী শাসন না করা হয় তাহলে অচিরেই বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক
ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি প্রয়াত আলতাফ মাহমুদের কবরস্থানসহ অন্যান্য স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। আরও বক্তব্য রাখেন ডাকুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ
সম্পাদক হানিফ গাজী, ইউপি সদস্য আমিনুল ইসলাম মিঠু ও শাহ আলম মৃধা প্রমুখ।